শৈশবে বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের ‘গন্ধ’ না পাওয়ার আক্ষেপ ঝরেছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কণ্ঠে। তিনি বলেন, “আমিও কালকে রাত থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কাল থেকে ভাবছি, এমন একটা আসরে যাব, যে আসরটা আমাদের সময়ে কখনও হতো না। এই রকম নতুন বই আমরা সবসময় পেতাম না। অনেক সময় পুরনো বই দিয়ে ক্লাস করতে হতো।
আজ রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বই বিতরণ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি আজকে সকালে ভাবছিলাম, তোমাদের এখানে আসব, এই রকম অনুষ্ঠানটা আমি কখনো দেখিনি জীবনে, কী করব, কী বলব, কি কাপড় পড়ব সবই চিন্তা করেছি। তারপরে একটু চিন্তা করে দেখলাম, আজকে একটু ভাল কাপড়চোপড় পড়ে যাই।
মুহিত বলেন, আজকের দিনে আমার খুব আনন্দ, তোমাদের হাতে এই বইগুলো যাবে, তোমরা অত্যন্ত খুশি হবে, নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকবে এবং সেখানে মোটা মোট হরফে নাম লিখে দিবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার এবং তারপর যথাসময়ে যখন তোমাদের পড়াশোনা শেষ হয়ে যাবে, তখন বইটিকে বিসর্জন করে দিবে। সেখানেও আনন্দ আছে। হ্যাঁ.. আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি, বইটা পড়েছি, জ্ঞান আহরণ করেছি, শিক্ষিত হয়েছি।
শিশুদের উপদেশ দিয়ে মুহিত বলেন, “বই তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যটা হচ্ছে, আমাকে জ্ঞান আহরণ করতে হবে, শিক্ষাদীক্ষা করতে হবে, মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তাহলে আমি এই দেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতে অবদান রাখতে পারব। ”
শিক্ষার সুযোগ অনেক বাড়ার কারণে এখনকার শিশুরা অনেক সৌভাগ্যবান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের যারা কর দেন, তাদের টাকা-পয়সা আমরা এখানে খরচ করি। আমাদের জনগণও কখনও শিক্ষার ব্যাপারে আপত্তি করে না। তারা বেশ খুশিই হয়। কারণ এতে তাদেরই লাভ হয়। তাদের সন্তানরা তাদের ভবিষ্যত গড়ে উঠে।
তিনি আরো বলেন, “এই যে ভবিষ্যতটা গড়ে উঠার দায়িত্বটা তোমরা এখন গ্রহণ করছ, আজকে নতুন বই নিয়ে, সেটার যে উদ্দেশ্য সেটা যদি সাফল্য লাভ করে তাহলে সেটা আজকের দিনে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতিতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা শোনান। বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ঘাটতি কিছুদিন পর থাকবে না বলে আশাও দেখান তিনি।
এনা/কালে/পিত্রম
Posted ৫:০৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ জানুয়ারি ২০১৭
America News Agency (ANA) | Payel