
অনলাইন ডেস্ক : | শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট | 1155 বার পঠিত
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে, যা গতবছরের চেয়ে ৩৪ হাজার ৯৪২ জন কম। ২ এপ্রিল থেকে ১৫ মে এইচএসসির তত্ত্বীয় এবং ১৬ থেকে ২৫ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার ২ হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৮৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষার্থী কমলেও গতবারের চেয়ে এবার ৩৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৪৫টি পরীক্ষাকেন্দ্র বেড়েছে। এবার এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯৯ হাজার ৩২০ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ ৯৬ হাজার ৯১৪ জন এবং ডিআইবিএসে ৪ হাজার ৬৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে বলে জানান তিনি। এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন ছাত্রী। নাহিদ আরও জানান, ঢাকার বাইরে এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৭১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হবে।
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী, পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও ছবি তোলা যায় এমন ফোন সঙ্গে রাখতে পারবেন না। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের কেন্দ্রে প্রবেশ নিষেধ।
যে কারণে কমল পরীক্ষার্থী :২০১৫ সালে এসএসসিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া এবং যশোর বোর্ডে ইংরেজিতে ফল বিপর্যয়ের পর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ায় এইচএসসিতে এবার মোট পরীক্ষার্থী কমেছে বলে বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান জানান, ২০১৪ সালের এসএসসিতে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৩৩১ জন পাস করে। আর ২০১৫ সালে পাস করেছিল ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন। ফলে ওই বছর ২০ হাজার ৭১৩ জন শিক্ষার্থী কলেজে কম ভর্তি হয়।
তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে যশোর বোর্ডে ইংরেজিতে ফল বিপর্যয় হলে এই বোর্ডে সার্বিক পাসের হার ৪৬ শতাংশে নেমে আসে। ফলে যশোর বোর্ডে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৭৮২ জন কমে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক এসএম ওয়াহিদুজ্জামান ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০১৭
America News Agency (ANA) | Payel