আর কয়েক দিন পরই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎসব ঈদুল আজহা। তাই ব্যস্ত সব গৃহিণীই। যেকোনো উৎসবে সবচেয়ে ব্যস্ত হতে হয় নারীকেই। তা সে গৃহিণী হোক কিংবা চাকরিজীবী। আর ঈদের মতো উৎসব হলে তো কথাই নেই। ঈদ ঘিরে থাকে নানা কাজ, পরিকল্পনা ও বাজেট। সংসার যেহেতু নারী পরিচালনা করেন, তাই এসব তারই দায়িত্ব।
কথা হচ্ছিল মিসেস হকের সাথে। চাকরিজীবী মিসেস হক অফিস করার পরও এখন খুব ব্যস্ত। কারণ জিজ্ঞাসা করতে বললেন, আর ক’দিন পরই ঈদ। রোজার ঈদের মতো কোরবানির ঈদে সবাইকে এত কাপড় দেই না। তারপর শিশুদের জন্য তো নতুন কাপড় কিনতেই হয়। শাশুড়ি আছেন, তার জন্য নতুন শাড়ি কিনতে হবে। এ ছাড়া বাসায় কাজের লোক আছে, তাদেরও তো কিছু দিতে হবে এবং আছে বাসার টুকটাক কিছু কেনাকাটা। কোরবানি দিতে হবে।
আর নিজের জন্য কী নেবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে হেসে বললেন, এত কিছুর ভিড়ে নিজের জন্য কিছু কেনার কথা মনেও হয় না। এ ছাড়া কোরবানির ঈদ আত্মীয়স্বজন, বন্ধুরা বাসায় আসবে। তাদের জন্য স্পেশাল ডিশ রান্না করতে হবে। শিশুদের পছন্দের খাবার। কর্তা ভোজনরসিক মানুষ। তার জন্য করতে হয় নানা আয়োজন। আর আপনার পছন্দের খাবার? সবার পছন্দই পছন্দ। নিজের জন্য আলাদা করে আর চিন্তা করি না।
এমন চিত্র শুধু মিসেস হকের সংসারে নয়, প্রায় সব পরিবারেই। সংসার পরিচালনা করেন যে নারী, তিনি সবার কথা চিন্তা করেন, সবার পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখেন। তার নিজের পছন্দ-অপছন্দের কথা নিজে যেমন খেয়াল করেন না, তেমনি অন্য কেউও মনেই করেন না তার কথা।
শাহিদার বিরাট সংসার। শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ-দেবর নিয়ে জমজমাট। যেকোনো উৎসবেই সব দায়িত্ব তার। সবার জন্য কেনাকাটা করে নিজের জন্য কোনো কিছু কেনার সময় বা উৎসাহ কোনোটাই থাকে না। তার ওপর আছে সংসারের নানা কাজ, রান্নাবান্না। এত কিছুর পর নিজের জন্য কোনো সময়ই থাকে না শাহিদার। থাকে না ইচ্ছাও। তাই নিজের পছন্দের কোনো খাবার রান্না করা হয় না শাহিদার।
রোজার ঈদ, কোরবানির ঈদ এসব উৎসবের প্রাণ যে গৃহিণী, যিনি সবার জন্য করেন, তার কথা কিন্তু কেউ চিন্তা করে না। অথচ পরিবারের সবাই যদি একটু সচেতন হয়, সব কাজে যদি একটু সাহায্য করে, তার পছন্দের কিংবা খুশির একটু খেয়াল রাখে তাহলে হতে পারেন তিনিও খুশি।
Posted ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০১৭
America News Agency (ANA) | Payel