গ্রিক দেবতা হারকিউলিসের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে, পৃথিবী রক্ষার লক্ষ্যে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন আকাশ। আজও বিশ্বের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে প্রতিটি কর্মজীবী নারীই একেকজন হারকিউলিস। প্রত্যেকেরই মাথায় তুলে নিতে হয় ঘর-সংসার ও কর্মক্ষেত্রের ভার। সামনে এগিয়ে যাওয়া এই ভারকে কাঁধে নিয়েই। পথ সহজ নয়। কিন্তু আজকের বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায় বহু নারী এই কঠিন পথটিকেই পাড়ি দিচ্ছেন। এ কারণেই আর বিশ্বজুড়ে নারী রাষ্ট্রপ্রধানের সংখ্যা ২১। এ সংখ্যা সাম্যের নয়; তবে
আশাজাগানিয়া। এ সংখ্যা বার্তা দেয়, যুদ্ধক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে। জয় মানেই পদতলে আসবে বিশ্ব।
টেরেসা মে, ব্রিটেন : দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে রয়েছেন টেরেসা মে। এর আগে এই কনজারভেটিভ দলের নেত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নারী ও সাম্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ, এস্টোনিয়া মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ইথিওপিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, আরুবা, আইসল্যান্ডেও প্রধানমন্ত্রী হিসিবে দায়িত্ব পালন করছেন নারী।
এই ধরাবাধা হিসাব বাদ দিয়েও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও ডেনামার্কের রানি দ্বিতীয় মার্গারেট।
অ্যাঞ্জেলা মারকেল, জার্মানি : অ্যাঞ্জেলা মারকেল জার্মান চ্যান্সেলর। ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নারী এখনো তিনিই। ২০০৫ সাল থেকে তিনি ক্ষমতায়। তবে জানিয়ে দিয়েছেন, বয়স হচ্ছে। আসছে মেয়াদে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তিনি।
বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি, নেপাল : বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি নেপালের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। ক্ষমতায় আছেন ২০১৫ সাল থেকে। এর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
কোলিন্ডা কিটারোভিচ, ক্রোয়েশিয়া : কোলিন্ডা কিটারোভিচ ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট। দায়িত্বে আছেন ২০১৫ সাল থেকে। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দালিয়া গ্রিবাউসকেইট, লিথুয়ানিয়া : দালিয়া গ্রিবাউসকেইট লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০০৯ সাল থেকে তিনি ক্ষমতায় আছেন। তিনি দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং প্রথম পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। তিনি সাবেক ইউরোপীয় কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মারি লুইস কলেইরো প্রেসা, মালটা : মারি লুইস কলেইরো প্রেসা মালটার নবম প্রেসিডেন্ট। ২০১৪ সাল থেকে দায়িত্বে। তিনি এর আগে পরিবার ও সামাজিক বন্ধনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে ছিলেন।
সারা কুগংগেলওয়া, নামিবিয়া : সারা কুগংগেলওয়া ২০১৫ সাল থেকে নামিবিয়ার প্রধামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন।
অং সান সু চি, মিয়ানমার : সু চি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ২০১৬ সাল থেকে। গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের জন্য ১৯৯১ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান।
ক্যাট্রিন জ্যাকোবসডোটির, আইসল্যান্ড : ক্যাট্রিন জ্যাকোবসডোটির আইসল্যান্ডের ২৮তম প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি দেশের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
জেসিকা আর্ডার্ন , নিউজিল্যান্ড : জেসিকা আর্ডার্ন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০১৭ সালে। শুরু থেকেই তরুণী এই প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আলোচিত। দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের মাও হন তিনি।
আরনা সোলবার্গ, নরওয়ে : আরনা সোলবার্গ নরওয়েতে ২০১৩ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
Posted ১২:১১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯
America News Agency (ANA) | Payel