১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে অমর একুশের বইমেলা। লেখক, পাঠক আর প্রকাশকদের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়ে ওঠে এই মেলায়। বইমেলা ঘিরে আগের তুলনায় নারীদের লেখালেখির ব্যাপ্তি এখন অনেকটাই বেড়েছে। প্রতিদিনই সাহিত্যিকদের তালিকায় যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম, বাড়ছে বইয়ের সংখ্যা। লেখালেখি প্রসঙ্গে এ প্রজন্মের তিনজন নারী লেখকের ভাবনা নিয়ে আজকের আয়োজন। আলাপচারিতায় ছিলেন কেয়া আমান
‘ভালো ভালো নারী লেখক বেরিয়ে আসছেন কিন্তু তাদের মূল্যায়ন কম’
বইমেলার ব্যাপ্তি এবং আয়তন বাড়লেও নারীদের লেখার প্রতি পাঠকদের আগ্রহ এখনো খুব একটা বাড়েনি। বেশিরভাগ লেখক এমনকি পাঠকও নারীদের লেখকই মনে করেন না। বড় বড় সেলিব্রেটি লেখককেও দেখেছি তারা কোনো নারীর লেখা উপন্যাস, গল্প, কবিতা একবারের জন্যও পড়েননি। বিষয়টি এমন যেন নারীরা লিখতেই পারেন না। এই তথাকথিত মানসিকতা এখনো লক্ষণীয়। অথচ পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীই আছেন যারা চমৎকার গল্প, উপন্যাস, কবিতা ইত্যাদি লিখছেন। অনেকেই বলে থাকেন, নারীরা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লেখেন না বা লিখতে পারেন না। আমি তা কখনো মনে করি না। এমনটা তারাই বলেন, যারা নারীদের লেখাগুলো খুব বেশি পর্যবেক্ষণ করেন না। তাদের বলছি, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধসহ অনেক সিরিয়াস বিষয় নিয়েই এখন নারীরা লিখছেন। আর এখন তো লেখালেখি উন্মুক্ত। বইয়ের বাইরেও নানা মাধ্যম রয়েছে, যেখানে অনুভূতি, চিন্তা সহজে প্রকাশ করা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দেখছি এখন অনেক ভালো ভালো নারী লেখক বেরিয়ে আসছেন। কিন্তু তাদের মূল্যায়ন কম। এটা দুঃখজনক। নতুন বই প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক লেখিকা বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের একটু নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রকাশনা শিল্পের উন্নয়নের জন্যই এটি করা উচিত। এবারের বইমেলায় আমার তিনটি বই রি-প্রিন্ট হয়ে এসেছে। বই তিনটি হলোÑ গুচ্ছগল্প, একা এবং বিকেলের চিল। নতুন এসেছে হাসি প্রকাশনী থেকে আমার প্রেমের কবিতা। ১৯৮৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার পরপরই সাপ্তাহিক ডিটেকটিভ পত্রিকায় আমার প্রথম গল্প আকাশের ভালোবাসা প্রকাশিত হয়। তার আগে আমি স্কুল ম্যাগাজিনে লিখেছি এবং স্কুল ম্যাগাজিনের সহসম্পাদক হিসেবে কাজ করেছি।
Posted ২:৫৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
America News Agency (ANA) | Payel