ঢাকার ধামরাইয়ে চলন্ত বাসে এক পোশাক শ্রমিককে রাতভর গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন বাসচালকসহ পাঁচজন।
সোমবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- ধামরাইয়ের কুল্লা গ্রামের রাজা মাতাব্বরের ছেলে মকবুল হোসেন (৩৮), গাওয়াইল গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে মো. মোহেল রানা (২২), চরপাড়া গ্রামের হানিফের ছেলে সুজন আহাম্মেদ (১৭), নীলফামারী জেলার ডিমলা গ্রামের মহনলাল দাসের ছেলে বলরাম দাস (২০) ও ছলেমানের ছেলে আ. আজিজ (১৭)।
ধামরাই থানার এসআই ভজন রায় বলেন, রোববার দিনগত রাত ৯টার দিকে কাজ শেষে শ্রীরামপুর গ্রাফিক্স পোশাক কারখানার গেট থেকে ওই নারি শ্রমিক মানিকগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘যাত্রীসেবা’ নামের একটি লোকাল বাসে ওঠেন । বাসটি ঢাকার দিকে না গিয়ে প্রথমে কালামপুর বিসিক শিল্পনগরীর কাছে এবং পরে স্থান পরিবর্তন করে ধামরাইয়ের বান্দিমারা বাংলাদেশ বেতারের (ক) সম্প্রচার কেন্দ্রের পাশে নির্জন স্থানে যায়। এর পর রাতভর পালাক্রমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বাসচালকসহ পাঁচজন।
এ সময় সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে টহল দেয়াকালে বাসটি দেখে সন্দেহ হয়। পরে বাসের কাছে গিয়ে মুখ বাঁধা তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় গ্রেফতার করা হয় ওই পাঁচজনকে। যাত্রীসেবা পরিবহনের ওই বাসটি জব্দ করে পুলিশ।
ভিকটিমকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ধর্ষকদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে গ্রাফিক্স পোশাক কারখানার ম্যানেজার (কম্পিয়ার) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি কেউ আমাদের জানায়নি। যদি আমাদের কোনো শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে, তা হলে আমরা অবশ্যই তার পাশে দাঁড়াব।
ধামরাই থানার ওসি (তদন্ত) শেখ মোহাম্মদ আবু সাইয়িদ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি সত্যিই খুবই ন্যক্কারজনক। এমন সভ্য যুগেও মানুষ এ রকম জঘন্য ঘটনা ঘটাতে পারে তা ভাবতেও ঘৃণা হয়। ধর্ষকদের যাতে সর্বোচ্চ সাজা হয় সেদিকে পুলিশের আন্তরিকতার কোনো কার্পণ্য হবে না।
Posted ৫:০৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৯ এপ্রিল ২০১৮
America News Agency (ANA) | Payel