দালালের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে অবৈধভাবে নৌকায় সাগরপথে ইউরোপে যেতে গিয়ে সিলেটের বিয়ানীবাজার ও মৌলভীবাজারের বড়লেখার দুই তরুণ নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।
গত মঙ্গলবার লিবিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে সাগরে নৌকাডুবিতে ২১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটিতে ওই দুই তরুণও ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে তাদের পরিবার।
নিখোঁজ দুই তরুণ হলেন- বড়লেখার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের চান্দগ্রামের মাওলানা ইব্রাহিম আলীর ছেলে শিহাব উদ্দিন ফারুক (২৩) ও বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর এলাকার ক্বারী আব্দুল খালিকের ছেলে হারুনুর রশীদ ইমন (৩০)।
এদের বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ওই নৌকাডুবির ঘটনায় বড়লেখা ও বিয়ানীবাজারের একাধিক তরুণ নিখোঁজ রয়েছেন বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে নিখোঁজ ওই দুই তরুণের বাড়ি গেলে তাদের পরিবারে আহাজারি চলতে দেখা যায়। নিখোঁজ ইমনের ছোটভাই ঝুমন জানান, গত ৩ মাস পূর্বে তার ভাই দালালের মাধ্যমে লিবিয়া পাড়ি জমান। ইমনকে ইউরোপ পাঠানোর উদ্দেশ্যে জনৈক দালাল তাদের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা নেয়। গত সোমবার দালাল অনেকের সঙ্গে তার ভাইকেও সাগরপথে নৌকায় ইউরোপ পাঠায়।
পরদিন মঙ্গলবার সাগরে নৌকাডুবিতে ইউরোপ যাত্রী ২১৫ জনের মৃত্যুর খবর পান তারা। এরপর থেকে ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না। দালালের ফোনও বন্ধ। এতে পরিবারের লোকজন ইমনের বেঁচে থাকা নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে।
বড়লেখার চান্দগ্রামের নিখোঁজ তরুণ ফারুকের বড়ভাই মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা সালিক আহমদ জানান, নৌকায় ইউরোপ যাত্রার পর থেকে তার ভাইয়ের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি। দালালও ফোন বন্ধ করে রেখেছে। ভাইয়ের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
Posted ১১:৪৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৪ জুন ২০১৮
America News Agency (ANA) | Payel