রবিবার ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সন্দেহভাজন হলে মিলবে না স্টুডেন্ট ভিসা

এনা :   |   শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   99 বার পঠিত

সন্দেহভাজন হলে মিলবে না স্টুডেন্ট ভিসা

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্টুডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন পর্যায়ে লেখাপড়া করার জন্য আসছেন। এর মধ্যে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট, পিএইচডিসহ বিভিন্ন প্রফেশনাল পর্যায়ে লেখাপড়া করার জন্য অনেকেই এ দেশে আসেন। এ ছাড়া এক্সচেঞ্জ ভিজিটরও হিসেবেও অনেকেই আসেন। এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রামের বিষয়গুলো ভিন্ন। কারণ এখানে যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিভিন্ন স্টেজ পার করে একেকজন এ ধরনের প্রোগ্রামে আসার সুযোগ পান। ফলে তারা তেমন কোনো সমস্যায় পড়েন না এবং তারা নানা শর্তেই এসব প্রোগ্রামে আসেন। তাদের জন্য কঠিন নিয়মকানুন রয়েছে। সেগুলো পূরণ করতে হবে।

আইন ও নিয়ম না মানলে তাদেরকে প্রোগ্রাম থেকে বাতিল করে দেশেও পাঠানো হতে পারে। ফলে এক্সচেঞ্জ স্টুডেন্টকে সতর্ক থাকতে হয়। তবে সাধারণ স্টুডেন্ট হিসেবে ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে যারা পড়তে আসেন, তাদেরকে বেশ কিছু ধাপ পার হতে হবে। সেই সঙ্গে সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও কেউ যদি সন্তোষজনকভাবে ইন্টারভিউ পাস করতে না পারেন, প্রয়োজনীয় নথিপত্র, বিশেষ করে তার শিক্ষা খরচ বহন করার তথ্য যদি সঠিকভাবে ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করতে না পারেন, তাহলে ভিসা নাও মিলতে পারে। ভুল তথ্য, ভুল নথিপত্র ও নকল নথিপত্র দিলেও ভিসা মিলবে না। তবে একবার ভিসা না পেলে আবার ভিসার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ভিসা অফিসারকে নিশ্চিত করতে হবে, তিনি লেখাপড়া করার খরচ চালাতে পারবেন এবং লেখাপড়া শেষ করার পর তার নিজ দেশে ফেরত যাবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকার চেষ্টা করবেন না। আমেরিকার নিয়মকানুন ও আইনের প্রতি আস্থাশীল থাকবেন। কোনো ধরনের অপরাধ করবেন না। আমেরিকার কোনো নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করবেন না।

কেউ যখন অনেক স্বপ্ন নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য আমেরিকায় আসার পরিকল্পনা করবেন, তাকে স্টুডেন্ট ভিসার বিষয়ে আদ্যোপান্ত সব জানতে হবে। না জানার অভাবেও অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন। সমস্যায় পড়লে অথবা ভুল করলে তিনি বলতে পারবেন না যে তিনি জানতেন না। কারণ যে এখানে যে ক্যাটাগরিতেই আসেন না কেন, তাকে সব জেনেশুনে ও পরিকল্পনা করেই আসতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসার বিষয়ে বলা হয়, যে বিদেশি নাগরিকেরা যুক্তরাষ্ট্রে আসেন শিক্ষার্জনের জন্য। এখানে যারা পড়তে আসতে চান, তাদেরকে ভিসার জন্য আবেদন করার আগে বাধ্যতামূলকভাবে তাদের বিদ্যালয় বা প্রোগ্রামের দ্বারা গৃহীত হতে হবে। একবার গৃহীত হয়ে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আবেদনকারীকে ছাত্র ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, প্রয়োজনীয় সমস্ত অনুমোদিত কাগজপত্র প্রদান করবে। নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট (এফ এবং এম) ভিসা স্টাডি কোর্সের শুরুর তারিখের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ইস্যু করা যেতে পারে। স্টুডেন্ট আই-২০-তে উল্লেখিত কোর্স শুরুর দিনের ৩০ দিনের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারবে।

ভিসার বিবরণ এবং যোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়, এফ-১ ভিসা হলো সব থেকে প্রচলিত স্টুডেন্ট ভিসা। কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অনুমোদিত বিদ্যালয়ে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইত্যাদিতে প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণ করতে চান বা অনুমোদিত ইংরেজি ভাষা-শিক্ষা প্রোগ্রাম গ্রহণ করতে চান, তাহলে তার এফ-১ ভিসা প্রয়োজন হবে। যদি তার শিক্ষা সপ্তাহে ১৮ ঘণ্টার অধিক সময়ের হয়, তাহলেও তার এফ-১ ভিসা প্রয়োজন হবে।

এম-১ ভিসার বিষয়ে বলা হয়, তিনি যদি কোনো ইউএস প্রতিষ্ঠানে অ-চিরাচরিত বা পেশাগত শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে তার এম-১ ভিসা প্রয়োজন হবে। এই ভিসা সম্বন্ধে এবং যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগের বিষয়ে আরও অধিক জানতে এডুকেশন ইউএসএ (Education USA)-এর ওয়েবপেজ দেখতে হবে।

Facebook Comments Box

Comments

comments

Posted ৫:৪৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫

America News Agency (ANA) |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

[abm_bangladesh_map]
Editor-in-chief :
Sayeed-Ur-Rabb
Corporate Headquarter :

44-70 21st.# 3O1, LIC. New York-11101. USA,

06463215067

americanewsagency@gmail.com

Copyright © 2019-2025Inc. America News Agency (ANA), All rights reserved.ESTD-1997