
এনা : | রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | প্রিন্ট | 30 বার পঠিত
ছবি : সংগৃহিত
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই তড়িঘড়ি করে ভারত ও পাকিস্তানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে সিএনএন জানায়, পাক-ভারত যুদ্ধে বড় ধরনের বিপদের শঙ্কা থেকেই বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলে ওয়াশিংটন। এরপরই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ। তবে কত দিন স্থায়ী হবে এ যুদ্ধবিরতি, তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানান বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই তড়িঘড়ি করে ভারত ও পাকিস্তানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে সিএনএন জানায়, পাক-ভারত যুদ্ধে বড় ধরনের বিপদের শঙ্কা থেকেই বিষয়টি নিয়ে দুইদেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলে ওয়াশিংটন। এরপরই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ। তবে, কত দিন স্থায়ী হবে এ যুদ্ধবিরতি, তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানান বিশ্লেষকরা।
শনিবার সকালে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টাপাল্টি হামলা, আর বিকেলে আচমকা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা অনেকটা নাটকীয়তার তৈরি করেছে দু’দেশের ভূরাজনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া এ দুই পরাশক্তির যুদ্ধবিরতি নিয়ে তাই এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিএনএন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব নিয়ে অনেকটা টানাটানি করছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ গত ৭ মে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও পাকিস্তান ভূ-খণ্ডে যখন হামলা করে ভারত তখন অনেকটা গাঁ ছাড়া ভাব দেখান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তা সমাধান করতে বলেন তিনি।
অথচ এই বক্তব্যের দিন তিনেক পরই নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কথা জানান দেন তিনি। এমনকি গত দুই দিন আগেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ থামানো যুক্তরাষ্ট্রের কাজ নয়। এ বিষয়ে তাদের কোন আগ্রহ নেই।
অথচ এর ৪৮ ঘণ্টা পরই মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করে অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করান তাদের।
এতকিছুর পরও হঠাৎ করে পাক-ভারত যুদ্ধ থামাতে আগ বাড়িয়ে কেন যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে এসেছে? এর উত্তর জানিয়েছে সিএনএন। সেখানে বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের কাছে তথ্য রয়েছে পরাশক্তিধর এই দুই দেশের যুদ্ধ বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনছে। যা খুবই উদ্বেগজনক। তাই তড়িঘড়ি করে বিষয়টি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। এর পর মার্কিন প্রশাসনের তিন সদস্যের একটি দল ক্রমাগত ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে থাকে।
Posted ৩:৪৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১১ মে ২০২৫
America News Agency (ANA) | ANA