এনা অনলাইন : | বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 12785 বার পঠিত
বাংলাদেশের দেওয়া চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম দশ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। মিডল ওভারে রাহুলকে নিয়ে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেও পারেননি শ্রেয়াস আয়ার। তবে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে তার ১০৭ রানের জুটিতে চোখ রাঙানিটা ছিল স্পষ্ট। সেখান থেকে বাংলাদেশকে আবারও ম্যাচে ফেরান মিরাজ, আয়ারকে ফিরিয়ে।
মেহেদী হাসান মিরাজ সম্ভবত গত তিন-চা রদিনে বাংলাদেশের ক্রিকেটপাড়ায় সবচেয়ে আলোচিত নাম। আর এমনটা হবে না-ই বা কেন! ভারতের বিপক্ষে গত দুই ম্যাচে কী করেননি ডানহাতি এ অলরাউন্ডার। দলের বিপদের সময় ব্যাট হাতে খেলেছেন ম্যাচজয়ী সব ইনিংস। আবার বল হাতেও প্রয়োজনের সময় এনে দিয়েছেন উইকেট। আর ২৫ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভারতকে স্তব্ধ করে দিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
বুধবার মিরপুরপু শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরি আর মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরিঞ্চু তে ভারতকে ২৭২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় বাং লাদেশ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৭১ রান তোলে বাংলাদেশ। ১০০ রানে অপরা জিত ছিলেন মিরাজ। ৭৭ রান আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। নাসুম আহমেদ করেন ১১ বলে ১৮।
আগের ম্যাচে শেষ উইকেট জুটিতে মুস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জন্ম দিয়েছিলেন রূপকথার। ৫১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন ১ উইকেটের নাটকীয় জয়। এবার নিজেকে যেন ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। চাপের মুখে অসাধারণ ব্যাটিং শৈলিতে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। রিয়াদ তুলে নেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৭তম অর্ধ-শতক। মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরি তুলে নেবেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। কিন্তু দলীয় ২১৭ রানের সময় ব্যক্তিগত ৭৭ রানে আউট হয়ে যান তিনি। উমরান মালিকের বলে ক্যাচ দেন উইকেট কিপার লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে। তাতে ভাঙে রেকর্ড১৪৮ রানের জুটি।
২০১৪ সালে ফতুল্লায় তৃতীয় উইকেটে এনামুল হক ও মুশফিকুর রহিমের ১৩৩ রান ছিল এত দিন ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। এবার সেটি ছাড়িয়ে গেল মাহমুদউল্লাহ-মিরাজের জুটি। ৮৩ বলে শতরানেই অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মিরাজ। অপর প্রান্তে নাসুম আহমেদও ছোটখাট একটা ক্যামিও খেলেছেন (১১ বলে ১৮)। বাংলাদেশ পেয়ে যায় ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দশ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। মিডল ওভারে রাহুলকে নিয়ে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেও পারেননি শ্রেয়াস আয়ার। তবে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে তার ১০৭ রানের জুটিতে চোখ রাঙানিটা ছিল স্পষ্ট। সেখান থেকে বাংলাদেশকে আবারও ম্যাচে ফেরান মিরাজ, আয়ারকে ফিরিয়ে।
পরের দুই উইকেট পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। ৫৬ বলে ৫৬ রান করা অক্ষর প্যাটেলকে বাউন্সারের ফাঁদে ফেলেন এবাদত। পরের উইকেটটা নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শার্দুল ঠাকুরকে স্ট্যাম্পিং করে ভারতের সপ্তম উইকেটটা তুলে নেন বাঁহাতি এ স্পিনার। তবে শেষের দিকে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন রোহিত শর্মা। আঙুলের চোটের কারণে ওপেনিংয়ে না নামা ভারতীয় অধিনায়ক বাংলাদেশের নাভিশ্বাস তুলেছিলেন শেষ দুই ওভারে। ঐ দুই ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৪০ রান। কিন্তু শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে ৫ রানে হারতে হয় ভারতকে।
ফল: বাংলাদেশ ৫ রানে জয়ী
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
Posted ১০:২৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
America News Agency (ANA) | ANA