রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে। ৪ উইকেটের এই জয়ে সাকিবের কলকাতার ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্নটা বেঁচে থাকলো।
কলকাতার এই জয়ে ব্যাটে-বলে অবদান রেখেছেন সাকিব। আগে বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান খরচ করে উইকেট শূন্য থাকলেও ব্যাট হাতে সাকিব খেলেন ৯ রানের কার্যকরী ইনিংস। দলের জয়সূচক রানও আসে সাকিবের ব্যাট থেকে।
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে। জবাবে ২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষে পৌঁছে যায় কলকাতা। আগামী বুধবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি জিতলেই চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ফাইনালের টিকিট কাটতে পারবে কেকেআর।
১৩৯ রানের লক্ষে খেলতে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকে কলকাতা। ৫.২ ওভারে ৪১ রান তুলে আউট হন ওপেনার শুভমান গিল। ১৮ বলে ৪ চারে ২৯ রান করে আউট হন এই ওপেনার। তার বিদায়ের পর রাহুল ত্রিপাঠি (৬) দ্রুত বিদায় নেন। কলকাতার জয়ের ‘নায়ক’ যদি হন সুনীল নারিন তাহলে পার্শ্ব নায়ক বলতে হবে সাকিবকে আল হাসানকে। ৮ নম্বরে নেমে সাকিব ৬ বলে এক চারে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে পাঁচ নম্বরে নামা ক্যারিবিয়ান ব্যাটার সুনীল নারিন ১৫ বলে ৩ ছক্কায় ২৫ রানের ইনিংসে মূলত জয়ের ভীত পায় কলকাতা। তবে হুট করেই এক ওভারে মোহাম্মদ সিরাজ কলকাতার দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন। তখনও কলকাতার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ বলে ১৪ রানের। একই ওভারে প্রথমে সুনিল নারিন পরে দিনেশ কার্তিককে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বেঙ্গালুরু। যদিও শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারে গিয়ে জয় নিশ্চিত করে কলকাতা। এখানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সাকিব।
শেষ ওভারে জিততে কলকাতার দরকার ছিল ৭ রান। সাকিব ও ইয়ন মরগানের জুটির উপর ভর করে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে গিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে কলকাতা। জয়সূচক রানটি আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া নীতিশ রানার ব্যাট থেকে আসে ২৩ রানের ইনিংস। কলকাতার অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ৫ রান করে।
বেঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ সিরাজ, হার্শাল প্যাটেল ও যুজবেন্দ্র চাহাল দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে বেঙ্গালুরুর মিডল অর্ডার মোটেও সুবিধা করতে পারেনি। এরপরও রান ১৩৮ হয়েছে অধিনায়ক বিরাট কোহলির ৩০ রানের ইনিংসের উপর ভর করে। ওপেনিংয়ে নেমে এই ব্যাটার ৩৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩০ রান করেন তিনি। ১৮ বলে ২১ রান করেন পাডিক্কাল। এ ছাড়া আর কেউ ২০ রানের বেশি করতে পারেননি।
সাকিব উইকেট না পেলেও বোলিং খুব একটা খারাপ করেননি। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও সাকিবকে দিয়ে বোলিং উদ্বোধন করেছিল কলকাতা। সব মিলিয়ে ২৪ রান খরচায় উইকেট শূন্য ছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। কলকাতার হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার নারিন। ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় নিয়েছেন চারটি উইকেট। লকি ফার্গুসন দুটি উইকেট নিয়েছেন।
Posted ১:০১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
America News Agency (ANA) | ANA