শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

যে নেতা নিয়ে জাতি গর্ব করতে পারে না, সে জাতি হতভাগা

মুহম্মদ ফজলুর রহমান   শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০ 809
যে নেতা নিয়ে জাতি গর্ব করতে পারে না, সে জাতি হতভাগা

করোনা নিয়ে কথার শেষ নেই। চারদিকে করোনা এবং জীবন-মৃত্যুর খেলা। আর তার পাশাপাশি চলছে রাজনীতি। এমন একটা বিবর্ণ সময় বিশ্বের মানুষ পার করছে, যখন মনে হয় করোনা ছাড়া মানুষের আর কোন অসুস্থতা নেই। আর কোন রোগ-বালাই নেই। নেই কোন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। আর কোন সমস্যাও যেন নেই মানুষের জীবনে! করোনা বিশ্বটাকে পাগল করে তুলেছে। করোনাই এখন বিশ্ব সভ্যতার জন্য বড় হুমকি। সমগ্র জনপদে, সব অঞ্চলে, সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে বাঁচা-মরার আতঙ্ক। মানুষকে অমানবিক, স্বার্থপর করে তুলেছে। শুধুই নিজের এবং নিজের পরিবার নিয়ে ভাবনা। করোনার হাত থেকে আমি বাঁচতে পারবো তো? বাঁচতে পারবে তো আমার সন্তান-পরিবার, স্বজন-প্রিয়জন? আমার চারপাশের চেনা মানুষ, যাদের সঙ্গে আমার সর্বক্ষণ ওঠাবসা, সামাজিকতা, আড্ডা- তাদের কী অবস্থা, তাদের বাঁচা-মরা আমার ভাবনার বাইরে। বিশ্বটাই যেন একমুখী ভাবনায় আচ্ছন্ন।

সেই শুরু থেকেই, অর্থাৎ যখন থেকে করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপে দেখা দেয় এবং তার ভয়ঙ্কর মরণঘাতী চেহারা মানুষের মনে মৃত্যুভয় ধরিয়ে দিয়েছে, তখন থেকেই আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল করোনা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ কার্যকর ভ্যাকসিন। মাস্ক, স্যানিটাইজার আর শারীরিক দূরত্ব করোনা থেকে কিছুটা রক্ষা করলেও ধনি-দরিদ্র, উন্নত-উন্নয়নশীল সব দেশেই মাস্ক, স্যানিটাইজার নিয়ে অনেকটাই অনীহা দেখা যায়। আমেরিকায়তো অনীহার পাশাপাশি ব্যবহার না করার পক্ষে রীতিমতো প্রচারণাও লক্ষ করা যায় একটি পক্ষের! আর মাস্কের বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেতৃত্বে স্বয়ং দেশের প্রেসিডেন্ট। এমন কি তিনি নিজে আক্রান্ত হয়ে নিজের রোগ হোয়াইট হাউজের অনেক পদস্থ কর্মকর্তা এবং কয়েকজন সিনেটরের মধ্যেও সংক্রমিত করার পরও তিনি করোনার বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেননি! তাঁর একগুঁয়েমি ভাব এখনও অব্যাহত। যদিও ঠেলার নাম বাবাজি বলে তিনি এখন মাঝে মধ্যে থুথু ঢাকছেন।

এরই মধ্যে করোনা মহামারীতে বিশ্বে ১০ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। ৪ কোটির মতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে একগুঁয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিজ দেশেও বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক, প্রায় সোয়া ২ লাখ মানুষ মারা গিয়েছে। ১ কোটির মতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এই সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, এখন পর্যন্ত কেউই বলতে পারছেন না!

বিশ্বের অন্যতম সেরা সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ এ্যান্থনি ফাউচি ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন, আসন্ন শীতের মধ্যে আমেরিকায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লক্ষে পৌঁছাবে! প্রথম যখন ২ লক্ষাধিক মৃত্যুর কথা বলেছিলেন ভ্যাকসিন উদ্ভাবন সাপেক্ষে, তখন অনেকেই হয়তো তাঁকে অপ্রকৃতস্থ ভেবেছিলেন। তাঁর কথার সত্যতা এরই মধ্যে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। এখন সবাই প্রায় নিশ্চিত যে, চলতি বছরের একেবারে শেষে, নইলে ২০২১-এর প্রথমদিকে বিশ্ব হয়তো ভ্যাকসিন পাবে। তবে সে ভ্যাকসিন নিয়েও রাজনীতি হতে দেখা যাচ্ছে।
মানুষের ক্রমবর্ধমান এই মৃত্যু-আতঙ্ক এবং অস্থিরতার মধ্যে জানা যাচ্ছেÑ করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের ৯-১০টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দ্বারপ্রান্তে। বিশ্ববাসীর জন্য এ এক দারুণ আনন্দের খবর। আমাদের প্রত্যাশা গবেষণা সফল হোক। করোনার অভিশাপ থেকে বিশ্ব রক্ষা পাক। এতো মৃত্যু, এতো বিয়োগ ব্যথা সহ্য হয় না। তারপরও উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন যেন করোনাকে পরাভূত করতে পারে। মানুষ যেন অহংকারের সঙ্গে উচ্চারণ করতে পারেÑ মানুষই সৃষ্টির সেরা!

এই আনন্দ সংবাদ যখন কেবল আমেরিকা নয়, সমগ্র বিশ্বকেই আশাবাদী করে তুলেছে, সেই সুখের সময়েও গোলাপে কাঁটার মতো রাজনীতির কালো ছায়াও দেখা যাচ্ছে। করোনা এবং ভ্যাকসিন নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করছেন। কেউ কেউ করোনাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে নিজের লাভ ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। কেউ করোনা ভ্যাকসিনকে মুনাফার রাজনীতিতে কাজে লাগাচ্ছেন। কেউ বা নিজের বা দলের রাজনীতির স্বার্থে করোনাকে ব্যবহারের অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর মাঝখানে পড়ে বিশ্বজুড়ে পশ্চাৎপদ দেশ এবং তারচেয়েও পশ্চাৎপদ ঐসব দেশের মানুষের ‘চিঁড়ে চ্যাপ্টা’ অবস্থা! কিশোরকালে যে ‘ব্যাঙ এবং দুষ্ট ছেলেদের’ গল্প পড়েছিলাম, অনেকটা যেনো সে রকম! যা ছিল ছেলেদের জন্য খেলা, তাই ব্যাঙদের জন্য মরণ! করোনাকালের রাজনীতিও সে রকমই। কেউ মুনাফার হিসেব কষছে, কেউ ক্ষমতার হিসেব মিলাচ্ছে। আর মানুষ মুনাফা এবং ক্ষমতার রাজনীতিতে দাবার ঘুঁটি যেনো এই দুই হিসেবের মাঝে!

জাগতিক নিয়মকে যখন মানুষ অস্বীকার করে চলতে শুরু করে, তখন প্রকৃতি বলে যে আরেকটি শক্তি আছে, তা স্মরণ করিয়ে দিতেই মাঝে মাঝে করোনার মতো অনেক দুর্যোগ-দুর্ভোগ নেমে আসে। এর আগেও এসেছে। স্প্যানিস ফ্লু, নাইন ওয়েস্ট, ইবোলা, সার্স অনেক মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। আবার খরা, অতি বর্ষণ, অতি বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, সুনামীর মতো ভয়ঙ্কর সব প্রাকৃতিক দুর্যোগেও লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তবে সে সবই ছিল এলাকা বা অঞ্চল কেন্দ্রিক। বৈশ্বিক মহামারী করোনার মতো এমনটা আর কেউ পূর্বে দেখেছে কিনা, জানা নেই। পূর্বের সেসব দুর্যোগ দুর্ভোগ মহামারী নিয়ে রাজনীতিও হয়েছে বলে জানা যায় না।

প্রকৃতিরই নাকি নিয়ম- ছোটখাটো সতর্ক সংকেতে যখন মানুষের হুঁশ হয় না, তখন বড়সড় ধাক্কা দিয়েই মানুষকে জাগাতে চায় প্রকৃতি! প্রকৃতি দেখাতে চায়- তার শক্তিও কম নয়! প্রকৃতির সঙ্গে সমঝোতা করে মানুষ চললে সভ্যতা বিকশিত হয়, অগ্রসর হয়। মানুষ আর প্রকৃতির সংঘাতের পরিণাম ভয়ঙ্কর, ধ্বংস। পিছিয়ে পড়া। কিন্তু মানুষ যখন বোধহীন হয় বিশেষ করে ক্ষমতাধর মানুষ, তখন ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে মানুষ সৃষ্টি এবং সভ্যতাকে শুধু হত্যা করে না, প্রকৃতিকেও রুষ্ট করে তোলে। তার পরিণতি যে কী ভয়ঙ্কর হয়, প্রকৃতি যে কতো রুদ্রমূর্তি ধারণ করে মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিতে শুরু করে, প্রকৃতির অভিশাপ হিসেবে করোনাও আজ সেই প্রতিশোধ গ্রহণ করছে বলে অনেকের অভিমত। মানুষ যে প্রকৃতি এবং পরিবেশকে হেলা করে চলতে পারে না, বিশ্বজুড়ে করোনা এবার সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে।

তবুও কি মানুষ গোঁড়ামি ছাড়ছে? অপরাজনীতির খেলা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে? বিজ্ঞানে যে গোঁড়ামি, দম্ভ, অজ্ঞতার কোন জায়গা নেই, সেই বোধকে এখনও অজ্ঞতা ও অপরাজনীতি আচ্ছন্ন করে রেখেছে। বিশ্বের দিকে নয়, আমেরিকার দিকে তাকালেই তা বোধগম্য হতে বিলম্ব হয় না। জর্জ ওয়াশিংটন, আব্রাহাম লিংকনের মহান দেশ আমেরিকার স্বচ্ছ আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা শুরু হয় ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিতই হন যেনো এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে যেÑ কী করে আমেরিকার ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, সুমহান পরম্পরা গুঁড়িয়ে দেয়া যায়?
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, কখনো কখনো ছোট দেশে বড় নেতা এবং বড় দেশে ছোট নেতাÑ সেই নেতা এবং দেশ উভয়ের জন্যই দুর্ভাগ্য হয়ে দাঁড়ায়। ছোট দেশ বলতে কেবল সাইজে বা জনসংখ্যার দিক থেকে ছোট নয়। শিক্ষা-চিকিৎসা-পুষ্টি, সম্পদে পশ্চাৎপদ একটি দেশে এমন একজন নেতার আবির্ভাব ঘটলো, যিনি মেধায়-প্রজ্ঞায়, দূরদর্শিতায় বেশি অগ্রসর, তাঁর জন্য দুর্ভাগ্য বলতে হবে। কেননা এ রকম একজন নেতাকে দেশের মানুষের বুঝবার জন্য চেতনার যে স্তর থাকা দরকার, তা না থাকায় নেতা ও জনতার মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি ঘটবে এবং জনগণ যখন নেতার জ্ঞান-গরীমার স্তর পরিমাপ করতে না পেরে বলবেÑ ‘নিজে বেশি বোঝে’Ñ তখন সেই বোঝাবুঝিতেই নেতাকে গ্রহণ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আবার বড় দেশের ছোট নেতা হলেও সেই দেশের আরো এগিয়ে যাওয়ার, আরো বিকশিত হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এখানে ছোট নেতা বলতে তিনি খর্বকায় বা তার ধন-সম্পদের অভাব আছে কিনা, সেটা বোঝানো হচ্ছে না। এখানে তার শিক্ষা-দীক্ষা, মেধা-প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় তিনি কতটা অগ্রসর, সেটাই বিবেচনা করা হচ্ছে। তেমন একজন নেতা বড় দেশের জন্য অবশ্যই দুর্ভাগ্য।

একটি দেশের জন্য একজন নেতা অবশ্যই প্রাইড হতে হবে। দেশের মানুষ যদি নেতার শিক্ষা-দীক্ষায়, মেধা-প্রজ্ঞায়, সততায়, মানবিকতায় গর্ব অনুভব করতে না পারেন, তাঁর নেতৃত্ব, দেশ পরিচালনায় তার দক্ষতা এবং সাফল্য অর্জনের ওপর আস্থা রাখতে না পারে, তবে সে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নাগরিক সমাজের উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক। মানুষ ভোগী, স্বার্থপর, ক্ষুদ্র মানসিকতার কাউকে দেশের নেতা হিসেবে দেখতে চায় না। সবাই চায় তাদের দেশের নেতা হবেন জর্জ ওয়াশিংটন, জন এ্যাডামস, বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন, আলেকজান্ডার হেমিল্টন, থমাস জেফারসন, জেমস ম্যাডিসন, আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী, নেলসন মান্ডেলা, লেনিন, হো চি মিন, মাও সেতুংয়ের মতো! তাদের নেতা হবেন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো।

সব মানুষ চায় তাদের নেতা হবেন ত্যাগী, ভোগী নন। নেতা হবেন এমন, যিনি সব সময় দেশ এবং দেশের মানুষের স্বার্থকে সবকিছুর উপরে স্থান দেবেন। দেশের জন্য জীবন দিয়ে দিতেও প্রস্তুত থাকবেন এবং মানুষ তাঁর ত্যাগের মনোভাবে সব সময় বিশ্বাস রাখবেন। কিন্তু আমেরিকার মতো একটি দেশের মানুষকে বর্তমান দুঃসময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো এমন একজন নেতা পেয়ে দুর্ভাগ্যই মানতে হচ্ছে। করোনাকালে আমেরিকার ইতিহাস-ঐতিহ্যে বিশ্বাসী সব মানুষই এমন নেতার হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইছেন। দলান্ধ মানুষ অবশ্যই ট্রাম্পের সমর্থনে আছেন ঠিক, তবে দলের হয়েও যারা ইতিহাসের দিকে তাকাবেন, স্বাধীনতা যাঁদের ত্যাগে-রক্তে, মেধায় অর্জিত হয়েছে, তাদের দিকে তাকাবেন এবং যাদের ঘামে-শ্রমে আমেরিকা আজকের আমেরিকা হয়ে উঠেছে, তাদের মর্যাদা দেবেন ও সম্মান করবেন, তারা কখনোই ট্রাম্পকে সমর্থন করতে পারবেন বলে কেউ মনে করেন না।

মি. ট্রাম্প এমন একজন প্রেসিডেন্ট, যাকে মনে করা হয় তিনি আমেরিকান প্রেসিডেন্সির মর্যাদা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কোভিড-১৯-এর মতো মহামারী নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং এই মহামারীর বিরুদ্ধে সময়মতো যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছেন। করোনা নিয়ে জাতির সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। এমন কি নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েও সেই রোগ লুকানোর চেষ্টা করেছেন। করোনা নিয়ে রাজনীতি/করোনার ভয়ঙ্কর সংক্রমণকে খাটো করে দেখার প্রবণতা নিয়ে তিনি বিজ্ঞানকে অস্বীকার করেছেন। সব অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞের অভিমত অস্বীকার করা ও খাটো করে গোঁয়তুর্মি দেখিয়ে মাস্ক না পরা, সোস্যাল ডিসট্যান্স মেনে না চলার ফল স্বরূপ হোয়াইট হাউজেরই প্রায় অর্ধশতক কর্মকর্তা ও রাজনীতিক সংক্রমণের শিকার হওয়া। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকেও করোনা রাজনীতির সঙ্গে একীভূত করে ফেলার জন্য তাঁকেই অনেকে দায়ী করেন এবং মনে করেন যে, অনেক মানুষের মৃত্যু এবং বহু মানুষের সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হতো তিনি যদি সময়মতো পদক্ষেপ নিতেন।

নির্বাচনকে সামনে নিয়ে গত ৩ অক্টোবর প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে তিনি যা দেখিয়েছেন, তাতেং বিতর্ক পরিচালক ক্রিস ওয়ালেসসহ অনেকে তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেনÑ এমন বিতর্ক তারা কোনদিন প্রত্যক্ষ করেননি! অনেকে মন্তব্য করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে অঙ্গভঙ্গি, আচরণ দেখিয়েছেন, ইতিপূর্বে কোন প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে কোন প্রার্থী দেখাননি। ট্রাম্পের এই আচরণ আমেরিকার ভাবমূর্তি ম্লান করেছে। যা কোন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর জন্য বেমানান। মিডিয়ার সঙ্গে তাঁর আচরণও খুব বেসামাল বলে বিশিষ্টজনেরা মনে করেন। অনেক মিডিয়াই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ‘মিথ্যুক’ বলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্সির জন্য যা একান্তই লজ্জার এবং মর্যাদাহানীকর। এছাড়া ৭ অক্টোবর ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের বিতর্কের পর কামালা হ্যারিস সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যও কুরুচিপূর্ণ। বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, যে জাতি তার নেতাকে নিয়ে গর্ববোধ করতে পারে না, সে জাতি সত্যি সত্যি খুব হতভাগা।

লেখক : প্রধান সম্পাদক, ঠিকানা।

Facebook Comments Box

Comments

comments

Posted ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

America News Agency (ANA) |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

 

President/Editor-in-chief :

Sayeed-Ur-Rabb

 

Corporate Headquarter :

 44-70 21st.# 3O1, LIC. New York-11101. USA, Phone : +6463215067.

Dhaka Office :

70/B, Green Road, 1st Floor, Panthapath, Dhaka-1205, Phone : + 88-02-9665090.

E-mail : americanewsagency@gmail.com

Copyright © 2019-2024Inc. America News Agency (ANA), All rights reserved.ESTD-1997