সকাল ১১টা। হঠাৎই বিকট আওয়াজে কেঁপে উঠল ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর। এর খানিকবাদে সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়লেন ক্রিকেটাররা! এই সময় গগনবিদারী শব্দে সেখানে হাজির সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার। দড়ি বেয়ে নিচে নামছেন কমান্ডো সদস্যরা। এরপর জিম্মি খেলোয়াড়দের উদ্ধারের প্রচেষ্টা। উভয়পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গোলাগুলি হলো। মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিল সেনা সমস্যরা। হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে আবার হোটেলে দিয়ে আসা হলো ক্রিকেটারদের।
এরকম দৃশ্য সিনেমা বা উপন্যাসে হরহামেশা দেখা গেলেও আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরে এমনই এক ঘটনার উপর চলল সেনাবাহিনীর মহড়া। এই মহরায় জিম্মিদশা থেকে খেলোয়াড়দের উদ্ধারের বিষয়টিই প্রাধান্য পায়।
শেষ ২০১১ সালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো মহড়া হয়েছিল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপকে ঘিরে হয়েছিল সেবারের মহড়া। এরপর পাঁচ বছর পর আবার স্টেডিয়ামে সেনা মহড়া।
কারণটাও অনুমেয়। গুলশানের হলি আার্টজানে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশে আসতে অস্বীকৃতি জানায় ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল। এরপর অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে, নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে ইংল্যান্ড দল শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফরে রাজি হয়।
এই সিরিজ নির্বিঘ্ন করার জন্য সেনাবাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষিত দল নিয়ে মিরপুরে আজ অনুষ্ঠিত হলো কমান্ডো অভিযান। দুটি হেলিকপ্টারের সাহায্যে প্রায় ৫০ জন প্যারা কমান্ডো সদস্য দুই ধাপে বিসিবি একাডেমিতে প্রবেশ করেন।
এরপর এক এক করে অভিযান চালায় কমান্ডো বাহিনী। কীভাবে কোনো খেলোয়াড় জিম্মি হলে উদ্ধার করবে আর কীভাবে জিম্মিকারীদের ওপর আক্রমণ করবে তারা। আর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করে দ্রুত কীভাবে বের নিয়ে যাওয়া হবে। নিরাপত্তার এই কড়াকড়ি দেখে খুশি হয়েছে ইংল্যান্ড।
আগামীকাল শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যে প্রথম ওয়ানডে আগামী ৯ অক্টোবর দ্বিতীয় ও ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
Posted ৯:৩৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর ২০১৬
America News Agency (ANA) | Payel