এনা ডেস্ক : | মঙ্গলবার, ০৪ অক্টোবর ২০১৬ | প্রিন্ট | 982 বার পঠিত
কবি কালিদাসের শকুন্তলা নৃত্যনাট্যে ব্যবহার করা হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান। দুই মহান কবির এই ‘যুগলবন্দী’তে মুগ্ধ হলেন দর্শক-শ্রোতা। শুক্রবার ছুটির দিনে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হয় এই নৃত্যনাট্যটি।
মহাভারতের আদি পর্বের এ ঘটনা চার হাজার বছর আগের হলেও আজো এই কাহিনী মানুষের মনে দোলা দেয়। নাচের দল ভাবনা প্রযোজিত শকুন্তলা নিছক নৃত্যনাট্য বললে এই পরিবেশনার বৈচিত্র্যময়তা ঠিক প্রকাশ পায় না। মনিপুরীভিত্তিক নাচ হলেও এর সঙ্গে কত্থক, ছৌঁ, রাইবেশেসহ বেশকিছু শাস্ত্রীয় নাচের সম্মিলন ঘটিয়ে এক নতুন মাত্রা দেওয়া হয়েছে নৃত্যনাট্যটিকে। এরসঙ্গে নজরুলের গানের চমকপ্রদ ব্যবহার প্রযোজনাটিকে আরো নান্দনিক করে তোলে। নৃত্যনাট্যের মঞ্চসজ্জা ছিল অসাধারণ। এটি পরিচালনা করেছেন ভাবনার পরিচালক সামিনা হোসেন প্রেমা।
সন্ধ্যায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শকুন্তলা নৃত্যনাট্যের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন শুরু হয়। এসময় অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীসহ বিশিষ্টজনরা।
সামিনা হোসেন প্রেমা, সুকমল ইফতেখার কাকন ছাড়াও এর বিভিন্ন চরিত্রে রূপ দিয়েছেন ভাবনার একঝাঁক নৃত্যশিল্পী। পুরো নৃত্যনাট্যের জন্য কাজ করেছেন ঢাকা ও কলকাতার কয়েকজন শিল্পী। নজরুলের গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল ও প্রিয়াঙ্কা গোপ। সম্মিলিত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এদেশের একদল তরুণ কণ্ঠশিল্পী।
নেপথ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শিমুল মুস্তাফা, তামান্না তিথি ও দেবাশীষ চক্রবর্তী। ধ্রুপদী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কলকাতার শীর্ষ রায় ও সুমন সরকার। সুমনের সঙ্গীত পরিচালনায় নৃত্যনাট্যের পোশাক পরিকল্পনা করেছেন তাহসিনা শাহিন। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের সহায়তায় প্রযোজনাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন আলোময় বিশ্বাস। এ পরিবেশনায় সহযোগিতায় করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
Posted ৬:২১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ অক্টোবর ২০১৬
America News Agency (ANA) | Payel