শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ২৪তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী ২০২১-এর সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত (২৫ সেপ্টেম্বর) শনিবার সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এই আয়োজন করা হয়।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আকতারুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম।
এ বছর চারুকলা প্রদর্শনীর প্রতিটি মাধ্যমে একটি করে মোট ১১টি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সব মাধ্যম মিলিয়ে ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার-২০২১’ নামে একটি শ্রেষ্ঠ পুরস্কারও দেওয়া হয়। সব মাধ্যম মিলিয়ে শ্রেষ্ঠ শিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন মোহাম্মদ হাসানুর রহমান। এ ছাড়া স্থাপনা শিল্পে ইমতিয়াজ ইসলাম, চিত্রকলায় রুহুল করিম রুমী, ছাপচিত্রে আনিসুজ্জামান, ভাস্কর্যে কনক কুমার পাঠক, প্রাচ্যকলায় সুশান্ত কুমার অধিকারী, কারুশিল্পে সামিয়া আফরিন, মৃৎশিল্পে রবিউল ইসলাম, গ্রাফিক ডিজাইনে আল মঞ্জুর এলাহী, আলোকচিত্রে আল ইয়াছা ইরফান উদ্দিন, পারফরম্যান্স আর্টে ইফাত রেজোয়ানা রিয়া এবং নিউ মিডিয়া আর্টে জিহান করিম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার অর্জন করেছেন।
আয়োজনে পুরস্কার হিসেবে মাধ্যমভিত্তিক প্রতিটি শ্রেষ্ঠ পুরস্কারের জন্য এক লাখ এবং সব মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ পুরস্কারের জন্য দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেডেল, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেটও দেওয়া হয় বিজয়ীদের।
আয়োজনে প্রতিটি পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যমানের পাঁচটি সম্মানসূচক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এসব পুরস্কারের মধ্যে চিত্রকলায় বেঙ্গল ফাউন্ডেশন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন অভিজিৎ চৌধুরী, চিত্রকলায় শিল্পী কালিদাস কর্মকার সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন রাসেল কান্তি দাশ, ভাস্কর্য শিল্পে ভাষাশহীদ গাজীউল হক সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন তানভীর আহমেদ জয়, স্থাপনা শিল্পে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন প্রমথেশ দাস পুলক এবং ছাপচিত্রে শিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন কামরুজ্জামান।
পুরস্কার নির্বাচনের জন্য জুরি কমিটির সদস্য ছিলেন শিল্পী আব্দুল মান্নান, আবুল বারক আলভী, ড. ফরিদা জামান, ড. মোস্তফা শরীফ আনোয়ার, সৈয়দা মাহবুবা করিম ও মোস্তফা জামান। এ ছাড়া আয়োজনে উপস্থিত থেকে ২৪তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী পর্যালোচনা করেন শিল্পসমালোচক শাওন আকন্দ ও মোস্তফা জামান।
প্রদর্শনীর নীতিমালা অনুযায়ী ২১ বছরের উর্ধে বাংলাদেশের ৭৮৬ জন শিল্পীর সহস্রাধিক শিল্পকর্মের আবেদন জমা পড়ে। শিল্পকর্ম নির্বাচকমন্ডলী বিভিন্ন মাধ্যমের ৩২৩ জন শিল্পীর ৩৪৭টি শিল্পকর্ম নির্বাচন করেন। নির্বাচিত এ সকল শিল্পকর্মের মধ্যে ছিল চিত্রকলা ১৫৭টি, ছাপচিত্র ৫৩টি, আলোকচিত্র ১৭টি, ভাস্কর্য ৪৭টি, প্রাচ্যকলা ১০টি, মৃত্শিল্প ৭টি, কারুশিল্প ২০টি, গ্রাফিক ডিজাইন ৫টি, স্থাপনাশিল্প ১৮টি, নিউ মিডিয়া আর্ট ৭টি, পারফরমেন্স আর্ট ৬টি।