জনপ্রিয় হচ্ছে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং বাজার। ২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদন বলছে, অনলাইন শ্রমিক সরবরাহে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। চাকরির পেছনে না ছুটে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসে এই সব ফ্রিল্যান্সাররা কর্মসংস্থান করতে চান অন্যান্য তরুণদেরও।
শূন্য থেকে শুরু করে দুই বছরে কিভাবে ৫শ কোটি টাকা পুঁজি হলো, সেই গল্পই শোনালেন মঞ্জুর মোর্শেদ। কিন্তু শুরুর গল্পটা এতো সহজ ছিলো না। নিজের মেধা আর পরিশ্রমের পাশপাশি রাজশাহী শেখ কামাল ইনকিউবেশন সেন্টারে একটি অফিস তার জীবন পাল্টে দিয়েছে।
এমডি ইনফো-টেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, সরকারী সহযোগীতায় তিনি আজকে এই পর্যায়ে এসে পৌঁছাতে পেরেছেন।
পাশেই স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ফ্লিট বাংলাদেশ। প্রায় সাড়ে ৫শ ফ্রিল্যান্সরের এই প্রতিষ্ঠানটির মাসে বেতন দুই কোটি টাকা। অনেক কর্মী আছেন যার মাসিক উপার্জন ৬ থেকে ১২ লাখ টাকা।
ফ্লিট বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ খায়রুল আলম বলেন, এখন যে গতিতে তারা কাজ করছেন, তা ভবিষ্যতে আরো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
এমন চমক লাগা উদ্যোক্তাদের গল্পগুলো সাজানো রাজশাহীর শেখ কামাল ইনকিউবেশন সেন্টারে। সফলদের যাত্রায় উৎসাহিত নবীনরাও। তাদের নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা সফল হলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ পাবে নতুন সম্মান।
প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবন আর উপার্জনকে এক করতে দেশজুড়ে ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
২০১৯ সালের ডিজিটাল ইকোনমি রিপোর্ট বলছে, শুধু ফ্রিল্যান্সাররাই বাংলাদেশে আয় করছেন ১০ কোটি ডলার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, তরুণদের উদ্যোক্তা বানানোর জন্য সরকার সব ধরনের সহযোগীতা করে যাচ্ছে।
দেশে এখন ৩টি হাইটেক পার্ক ও আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার রয়েছে। চলমান আরো ১১টি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিদেশের মাটিতে নয় বরং বাংলাদেশেই সম্ভব বলে মনে করছে তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ।
Posted ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১
America News Agency (ANA) | ANA