
নিউইয়র্ক : | রবিবার, ২১ মে ২০১৭ | প্রিন্ট | 713 বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ২৬তম আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলা। শুক্রবার ফিতা কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন কলকাতার বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক পবিত্র সরকার। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও প্রকাশকেরা এই উত্সবে যোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার চমৎকার আবহাওয়ায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ এভিনিউর পিএস-৬৯-এ শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে রবিবার পর্যন্ত। উৎসবের শুরুতে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এরপর মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠানমালা। এতে অংশ নেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার, অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, জামাল উদ্দিন হোসেন, ড. লীনা তাপসী, নাজমুন নেসা পিয়ারী, রোকেয়া হায়দার, ইকবাল হাসান, লুৎফর রহমার রিটন, আমীরুল ইসলাম, আহমদ মাযহার, ফেরদৌস সাজেদীন, ড. হুমায়ূন কবীর, জসিম মল্লিক, কণাবসু মিশ্র, আলমগীর শিকদার লোটন, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, নিনি ওয়াহেদ, দুলাল তালুকদার, সব্যসাচী ঘোষ দস্তিদার, খায়রুল আনাম, তাজুল ইমাম, তাপস কর্মকার, লতিফুল ইসলাম শিবলী, হাসান ফেরদৌস প্রমুখ। এর আগে তাদের সবাইকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এবারের উৎসবের আহ্বায়ক ফেরদৌস সাজেদীন। তিনি এবারের আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত ‘আলো আমার আলো’ পরিবেশন করে আনন্দধ্বনি। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক পবিত্র সরকার, আমীরুল ইসলাম, ড. লীনা তাপসী, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, জামাল উদ্দিন হোসেন, ফেরদৌস আরা, রোকেয়া হায়দার এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রবাসীরা প্রবাসেও বাঙালি সংস্কৃতিকে মনেপ্রাণে লালন করছেন। তিনি বলেন, ২৬তম বাংলা উৎসব ও বইমেলা বাঙালির বিশ্বায়ন।
অধ্যাপক পবিত্র সরকার বলেন, বিশ্বজুড়ে বাঙালির জয়জয়কার। বাঙালি সংস্কৃতি পৃথিবীর দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছড়িয়ে পড়েছে। বাঙালির কবিতা, সঙ্গীত, চিত্রকলা বিশ্বের পাঠকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে।
ড. লীনা তাপসী বলেন, আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির মৌলিক গুণ বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যে ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি সেই রক্তের দাগ কখনো মুছে যাবে না। সেই দাগকে আমরা জিইয়ে রাখচোই। আমাদের প্রজন্মরা যেন জানতে পারে এই বাংলা ভাষার এই বর্ণিল শব্দগুলোর জন্য এই বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার যে ক্ষমতা, এই ভাষার যে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ তা অনেক ক্ষমতাবান। আমরা বাংলা ভাষা জানি বলেই পৃথিবীর যে কোনো ভাষা অতি সহজেই আমরা উচ্চারণ করতে পারি।
শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে ‘আবহমান বাংলা’ শীর্ষক নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাঞ্জলি। এটি পরিচালনা করেন চন্দ্রা ব্যানার্জি। নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা পরিবেশন নৃত্য, আবৃত্তি ও গান। এতে অংশ নেয় অন্তরা সাহা, মার্জিয়া স্মৃতি, রিতিকা দেব, চন্দ্রিকা দে, শ্রুতিকণা দাশ, বিরশা ও শতাব্দী রায়। রবীন্দ্র সঙ্গীতের একক পরিবেশনায় অংশ নেন শামা রহমান।
দ্বিতীয় দিন শনিবার উৎসব শুরু হবে বেলা ১১ টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এবং শেষ দিনের অনুষ্ঠানও শুরু হবে বেলা ১১টা থেকে এবং তা চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। এবারের আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলার অনুষ্ঠান মঞ্চের ব্যবস্থাপনা, অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নিনি ওয়াহেদ, হাসান ফেরদৌস, সেমন্তী ওয়াহেদ এবং উৎসবের আয়োজক মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের কর্ণধার বিশ্বজিৎ সাহা
Posted ২:৫৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ মে ২০১৭
America News Agency (ANA) | Payel