
এনা : | বৃহস্পতিবার, ০৮ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 12716 বার পঠিত
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে যারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন, শক্ত কোনো গ্রাউন্ড না থাকলে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে অনেক আশ্রয় প্রার্থী চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। যাদের আবেদন গৃহীত হয়েছে তাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই বলেও জানা গেছে। গত ১৬ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। রাজনৈতিক হয়রানি ও প্রাণনাশের আশঙ্কায় এই দীর্ঘসময়ে বহু বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। যারা যথাযথ প্রমাণ দিতে পেরেছেন তাদের আবেদন গৃহীত হয়েছে। তারা গ্রিনকার্ডও পেয়েছেন। এমনকী অনেকে দেশটির নাগরিকও হয়েছেন। আবার গত ১৫-১৬ বছর ধরে অনেকের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন ঝুলছে। কারো কারো আবেদনপত্র জমা নেওয়া হলেও আজ অবধি সাক্ষাতকারের জন্য মনোনীত হননি। ফলে তারা একপ্রকার দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের আশ্রয় আবেদনের পরিণতি কী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু করেছেন।
ফ্লোরিডা থেকে মোহাম্মদ অলি নামে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি ঠিকানাকে জানান, তিনি ফেনীতে বিএনপির রাজনীতি করতেন। ২০১৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এরপর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। তার আবেদন ইমিগ্রেশন অফিসার কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়েছে। এরপর তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। একবার গত ছয় বছরে দুই বার আদালতে শুনানি হয়েছে। আগামী নভেম্বরে তৃতীয় শুনানি। সরকার পরিবর্তনের ফলে এখন আশঙ্কা করছেন ওই শুনানিতে তার আবেদন আবারো প্রত্যাখাত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের ইমিগ্রেশন ও অ্যাক্সিডেন্ট বিশেষজ্ঞ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঠিকানাকে জানান, সরকার পরিবর্তন হলে এবং দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে পারে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন এবং দেশে প্রাণনাশের ঝুঁকি ছিল বলে যারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনে উল্লেখ করেছিলেন তাদের আবেদন ঝুঁকিতে রয়েছে। ইমিগ্রেশন অফিসার বা আদালত চাইলে তাদের আবেদন প্রত্যাখান করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে মঈন চৌধুরী বলেন, তার মাধ্যমে যারা আবেদন করেছেন তাদের ৯৫ ভাগ আবেদন গৃহীত হয়েছে। এমনকী দেশে ছাত্রলীগ করতেন এমন অনেকের আবেদন গৃহীত হয়েছে। তারা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে তাদের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ছিল। সরকার তাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু যারা সরাসরি সদ্য পদত্যাগী সরকারকে দায়ী করেছিলেন তাদের জন্য বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ এখন। তবে শক্ত কোনো গ্রাউন্ড থাকলে, বিশেষ করে যারা শুধু সরকার নয়, সমাজে প্রভাবশালীদের দ্বারা হয়রানির শিকার তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তিনি অভিজ্ঞ অ্যাটর্নির মাধ্যমে অ্যাসাইলাম আবেদনের পরামর্শ দেন।
Posted ১১:০৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ আগস্ট ২০২৪
America News Agency (ANA) | ANA