শুক্রবার ১৩ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফার্স্ট টাইম হোম বায়ারের জন্য ট্যাক্স ক্রেডিট

নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী   |   রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   12720 বার পঠিত

ফার্স্ট টাইম হোম বায়ারের জন্য ট্যাক্স ক্রেডিট

ফার্স্ট টাইম হোম বায়ারদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স ক্রেডিটের সুবিধা রয়েছে। এই সুবিধা ট্যাক্স ফাইল করার সময় নিতে হলে আগেভাগেই বিভিন্ন বিষয় জানতে হবে। যারা সিপিএ কিংবা এনরোল এজেন্টের মাধ্যমে ফাইল করেন, তারা তাদের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। কী কী নথিপত্র ট্যাক্স ফাইলের সময় প্রয়োজন, সেটাও জানতে হবে।

এ বিষয়ে সিপিএ জাকির চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অল্প ডাউন পেমেন্ট দিয়েই লোন নিয়ে যে কেউ বাসাবাড়ির মালিক হতে পারেন। কেউ যদি এক লাখ ডলার ইনকাম করেন, তাহলে সেই ইনকামের মধ্যে তিনি তার রেন্টাল ইনকাম ও আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে মর্টগেজ পেমেন্ট, ইন্টারেস্ট পেমেন্ট, প্রপার্টি ট্যাক্স, কনএডিসন বিল, বাড়িতে কোনো রেনোভেশন করলে এর পেমেন্টের কপি। এ ছাড়া অন্য যেসব খরচ তিনি রেন্টাল ইনকাম করার জন্য করেছেন, সেসব খরচ দেখাতে পারবেন। মনে রাখতে হবে, যারা ট্যাক্স ক্রেডিট নিতে চান, তাদেরকে ট্যাক্স ফাইল করতে হবে আইটেমাইজ ডিডাকশন হিসেবে। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন নেওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, যারা সিঙ্গেল তারা যদি দুই পরিবারবিশিষ্ট বাড়ি কেনেন, তাহলে আইটেমাইজ ডিডাকশন করতে পারেন। দুই পরিবারবিশিষ্ট বাড়ি কিনলে তিনি রেন্টাল ইনকাম ও এই ইনকামের জন্য যে খরচ দেখাতে পারবেন, তার লোকসানের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ডলার। সে ক্ষেত্রে তিনি ট্যাক্স দেবেন ৭৫ হাজার ডলারের উপরে। তবে ২৫ হাজার ডলার লোকসান হবেই, বিষয়টি এমন নয়। একেকজনের একেক রকম লোকসান হতে পারে। তবে কেউ যদি ৪০১ (কে), ট্র্যাডিশনাল আইআরএ, চাকরির সুবাদে স্বাস্থ্যবিমা, যাতায়াতসহ ট্যাক্স ফ্রি সুবিধা পান, সেসব অর্থ বাদ যাবে, বাকি যে অর্থ থাকবে সেই অর্থের ওপর ইনকাম হিসেবে ট্যাক্স হবে। কেউ যদি ৫২৬ সেভিং প্ল্যান করেন, তাহলে সেটিও স্টেট ট্যাক্স ফাইল করার সময় বাদ যাবে, ট্যাক্স ক্রেডিট পাবে। কিন্তু ফেডারেল ট্যাক্সের সময় ৫২৯ এর জমাকৃত অর্থ বাদ দেওয়া যাবে না, এর ওপরও ট্যাক্স দিতে হবে।
সিপিএ জাকির চৌধুরী বলেন, দুই পরিবারবিশিষ্ট বাড়ি কিনলে ওই বাড়িতে তিনি নিজে থাকলে এবং অপরটি ভাড়া দিলে যেটি ভাড়া দিয়েছেন, সেটি তিনি রেন্টাল ইনকাম হিসেবে দেখাবেন। ওই রেন্টাল ইউনিট থেকে তিনি যত রকমের পেমেন্ট দেন, বাড়ি রেনোভেশনের জন্য কিছু কেনেন, এর সব নথিপত্র রাখতে হবে। কারণ আইটেমাইজড ডিডাকশনে একটি সমস্যা হলো, আইআরএস যদি মনে করে, ওই ফাইল অডিট করবে, তাহলে তা করতে পারে এবং অডিট করলে যেসব খরচ দেখানো হয়েছে ওই সব খরচের সব রিসিপ্ট লাগবে। যেমন কেউ যদি বাড়ি রিপেয়ার করেন, তার সব নথিপত্র লাগবে। কারণ কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোনো ধরনের ট্যাক্স ক্রেডিট ক্লেম করলে সমস্যা হবে। যারা সত্যিকার অর্থে যেসব খরচ করেন এবং সব খরচের রিসিপ্ট রাখতে পারেন, তারা কোনো সমস্যায় পড়বেন না।

তিনি বলেন, যিনি প্রথমবার বাড়ির ক্রেতা হয়েছেন, তাকে ক্লোজিংয়ের নথি, প্রপার্টি ট্যাক্স দেওয়ার প্রমাণ এবং লোনের জন্য যে পেমেন্ট ও ইন্টারেস্ট দিচ্ছেন, সেসব নথি দিতে হবে। এ ছাড়া যারা দুই পরিবারবিশিষ্ট বাড়ি কিনেছেন তাদেরকেও নথিপত্র সবই রাখতে হবে। ফাইল করার সময় কী কী নথি নিয়ে যেতে হবে, তা ট্যাক্স প্রিপেয়ার বলবেন।

সিপিএ জাকির চৌধুরী বলেন, এখন লোনের ইন্টারেস্ট বেশি। ফলে যারা বেশি ইন্টারেস্ট দিয়ে বাসা বাড়ি কিনছেন তারা চাইলে যদি অর্থ থাকে, তাহলে পুরো লোন পে-অফ করতে পারেন। কারণ লোন থেকে বেরিয়ে যেতে পারলে খুবই ভালো। কেউ ইনডেক্স ফান্ড কিংবা ভ্যানগার্ড অথবা বিভিন্ন ব্যাংকে নিশ্চিত লাভ হয় এমন বিনিয়োগ করতে চাইলে তিনি লোনের ইন্টারেস্টের অর্থের কিছুু সেখান থেকে দেবেন আর বাকিটা নিজে দেবেন। কিন্তু কেউ কম সুদে বাড়ি কিনেছিলেন এখন বিনিয়োগ করে বেশি ইন্টারেস্ট পাচ্ছেন বা লাভ বেশি পাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে তিনি বেশি লাভ হওয়ার কারণে লোনের ইন্টারেস্ট ইনকাম থেকে দিতে পারেন। যদি তিনি ইনভেস্ট করে লাভ করতে না পারেন, তাহলে তার সব দিক থেকেই লোকসান হবে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে মানুষের ইচ্ছা ও অনিচ্ছা বড় বিষয়। কারণ তিনি চাইলে অর্থ থাকলে পুরোটাই শোধ করে দেবেন। যদি মনে করেন তিনি যা ইন্টারেস্ট দেবেন এর চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে ইনকাম করতে পারছেন, তাহলে তিনি ইনভেস্ট করে আয় করতে পারেন। অনেকেই স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করেন। এতে লোকসানের ঝুঁকি আছে। তাই যারা স্বল্প অর্থের মালিক, লোকসান হলে কঠিন বিপদে পড়তে পারেন অথবা ওই অর্থ ওঠানো কঠিন হবে, তাদের জন্য নিরাপদ ও নিশ্চিত লাভ এমন বিনিয়োগই ভালো। লাভ একটু কম হলেও লোকসান হবে না। তাই ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে লোনের ইন্টারেস্ট এখনই কমবে না, আস্তে আস্তে কমতে থাকবে।

সিপিএ জাকির চৌধুরী বলেন, আমার পরামর্শ হলো বাড়ি কেনায় ইনভেস্ট করা ভালো। কারণ বাড়ি কিনে দুই থেকে পাঁচ বছর পর বিক্রি করলে এক থেকে দুই লাখ ডলার বেশি পাওয়া যাবে। বাড়ির দাম বাড়লে একটা বিক্রি করে দুটিও কিনতে পারেন। আমরা সব সময় বলি, বাড়িতে ইনভেস্ট করা সব সময় লাভজনক।

Facebook Comments Box

Comments

comments

Posted ১১:২৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

America News Agency (ANA) |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

[abm_bangladesh_map]
Editor-in-chief :
Sayeed-Ur-Rabb
Corporate Headquarter :

44-70 21st.# 3O1, LIC. New York-11101. USA,

06463215067

americanewsagency@gmail.com

Copyright © 2019-2025Inc. America News Agency (ANA), All rights reserved.ESTD-1997