
এনা অনলাইন : | বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 12742 বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি কোনোভাবে ঠেকানো যাচ্ছে না। ফেডারেল, স্টেট ও সিটির জাঁদরেল সাইবারক্রাইম বিশেষজ্ঞদের নাকানি-চুবানি খাওয়াচ্ছে স্ক্যামাররা। তথ্য চুরির জন্য তারা বছরের শুরুকেই উপযুক্ত সময় হিসাবে বেছে নিচ্ছে। বিশেষ করে ট্যাক্স মওসুম টার্গেট করে এগোচ্ছে স্ক্যামাররা। কারণ মধ্যবিত্ত আমেরিকানরা ট্যাক্স ফাইল করে ব্যাংকের মাধ্যমে কিছু রিটার্ন পেয়ে থাকেন। এই অর্থগুলো বাগিয়ে নিতেই স্ক্যামাররা নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে বলে জানা গেছে।
একাধিক সূত্র জানায়, সারা বছরই স্ক্যামাররা সক্রিয় থাকে। কিন্তু ২৩ জানুয়ারি থেকে ট্যাক্স মওসুম শুরুর পর থেকে স্ক্যামারদের উৎপাত বেড়ে গেছে। তারা আইআরএসসহ বিভিন্ন ফেডারেল এজেন্সির পরিচয়ে ফোন করে আমেরিকানদের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। যাদের প্রিপেইড ফোন রয়েছে তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের ফোনের তথ্য চুরি করে সিম তুলে ব্যাংক থেকে অর্থ সরিয়ে নিচ্ছে। ভূক্তভোগীরা এ ব্যাপারে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে তেমন কোনো প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিউইয়র্ক প্রবাসী কাজী আশিকুর রহমান অপু জানান, তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান করছেন। এ সুযোগে স্ক্যামাররা প্রথমে তার সিম কার্ড তুলে নেয়। এরপর তার ও তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৭ হাজার ডলার হাতিয়ে নেয়। এছাড়া শেয়ারবাজার থেকে তুলে নেয় আরো ৩০ হাজার ডলার। এ ব্যাপারে ব্যাংকে অভিযোগ দেবার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অর্থ ফেরত দিয়েছে। কিন্তু শেয়ারবাজারের অর্থ এখনো ফেরত দেননি।
কাজী অপু বলেন, সবরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরও কীভাবে স্ক্যামাররা অর্থ হাতিয়ে নেয়?
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা টেলিফোন অপারেটর কোম্পানি টি-মোবাইল ব্যবহারকারীরা বার বার ডাটা ব্রিচের শিকার হচ্ছেন। দুই বছর আগে লাখ লাখ কাস্টমারের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির পর টি-মোবাইল তাদের সাইবার সিকিউরিটি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তার পরও গত সপ্তাহে ২৭ মিলিয়ন কাস্টমারের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে স্ক্যামাররা। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে টি-মোবাইল কর্তৃপক্ষ তাদের কাস্টমারদের সতর্ক করেছে।
এদিকে, গত ২০ জানুয়ারি শুক্রবার জ্যামাইকার বাসিন্দা এম এ সেলিমের সিম কার্ড তুলে নিয়ে শেয়ারবাজার থেকে প্রায় ২০ হাজার ডলার হাতিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে কোথাও কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ কোম্পানিতে অভিযোগ করার দুই সপ্তাহ পর তারা জানিয়েছে যে তারা তদন্ত করে দেখেছেন এম এ সেলিমের শেয়ারবাজার অ্যাকাউন্ট ঠিক আছে। অথচ তিনি হারিয়েছেন তার বিনিয়োগকৃত সব সঞ্চয়।
Posted ৮:৪২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
America News Agency (ANA) | ANA