যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কিংবা ইমিগ্র্যান্টরা তার হবু স্ত্রী বা হবু স্বামীকে এখানে নিয়ে আসার পরও বিয়ে করতে পারবেন। এ জন্য তাকে আগে ফিয়ান্সে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ভিসা পেলে এখানে আসার পর ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ে না করলে ফিয়ান্সকে তার দেশে ফেরত যেতে হবে। কারণ তখন তাকে ডিপোর্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। এ কারণে ফিয়ান্সে ভিসা দিয়ে যারা তার হবু স্ত্রী কিংবা স্বামীকে এই দেশে আনতে চান, তাদেরকে সব দিক বিশেষভাবে বিবেচনা করে ও আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে আবেদন করতে হবে।
এ ব্যাপারে নিউইয়র্কে দীর্ঘদিন ধরে ইমিগ্রেশন বিষয়ে কাজ করা মোহাম্মদ এন মজুমদার বলেন, ফিয়ান্সে ভিসা চাইলেই মিলবে, বিষয়টি এমন নয়। এ জন্য আবেদনকারীকে উপযুক্ত প্রমাণ দিতে হবে। হবু স্ত্রী কিংবা স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে, তাদের মধ্যে যোগাযোগ আছে, এখান থেকে তার জন্য দেশে অর্থ পাঠিয়েছেন, তারা একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেছেন, উভয়ের একসঙ্গে ছবি আছে- এমন সব প্রমাণ দিতে হবে। তাদের মধ্যে ইমেইল, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ রয়েছে, সেটিও তারা প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। বিভিন্ন মাধ্যমে কথোপকথনের প্রিন্ট কপিও উপস্থাপন করতে পারেন।
এন মজুমদার আরো বলেন, ইমিগ্রেশন বিষয়ে যেকোনো ধরনের আবেদন করার আগে কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তি কিংবা আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে ফাইল করা উচিত। এতে ফাইলে ভুল হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। তিনি বলেন, ফিয়ান্সের ভিসার জন্য আমরা নিজেদের ল’ ফার্মের মাধ্যমে আবেদন করি। আমাদের এখান থেকে আবেদন করে অনেকেই সফল হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে কাউকে ফিয়ান্স হিসেবে আনতে গেলে অনেক প্রমাণ দিতে হবে। তবে আশাহত হওয়ার কিছু নেই। উপযুক্ত গ্রাউন্ড ও প্রমাণ থাকলে এ ক্ষেত্রে সফল হওয়া সম্ভব।
Posted ১:১৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২
America News Agency (ANA) | ANA