
এনা অনলাইন : | শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০২২ | প্রিন্ট | 12790 বার পঠিত
নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে বাড়ির দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমছে। তার পরও বাড়ির দাম অনেক বেশি। এর আগে বাড়ির দাম যে পরিমাণ বেড়েছে, এখন পর্যন্ত সেই পরিমাণ দাম কমেনি। ফলে এখনো চাইলেই মানুষ সহজেই বাড়ি কিনতে পারছেন না। কারণ বাড়ির দাম কিছুটা কমলেও লোনের ইন্টারেস্ট বাড়ছে। এখন লোনের ইন্টারেস্ট রেট ৬-৭ শতাংশ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি।
আবার যারা হার্ড লোন নিয়ে বাড়ি কিনছেন, তাদের লোনের ইন্টারেস্টের পরিমাণ ১১ থেকে ১২ শতাংশ। তারা লোন পরিশোধ করতে না পারলে সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করছেন লোন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বাড়ি কিনতে হলে লোন পাওয়ার যোগ্য হতে হবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্রেতা লোনের অযোগ্য হচ্ছেন। ইন্টারেস্ট বাড়ার কারণেই অনেক মানুষ লোন পাওয়ার অযোগ্য হচ্ছেন। কারণ লোনের ইন্টারেস্ট বাড়ায় মর্টগ্রেজের পরিমাণও বেশি আসছে। তা পরিশোধ করার জন্য যে পরিমাণ আয় থাকার কথা, সেটি অনেকেরই নেই। এখন ফুল চেকে যারা বাড়ি কিনতে চাইছেন, তাদের জন্য ইন্টারেস্ট ৬.২৫, ৫.৭৫. ৫.৩০ শতাংশ। আর যারা নো ইনকম চেকে কিনছেন, তাদের জন্য ৭.২৫-৭.৮৭ শতাংশ পর্যন্ত, যারা হার্ডলোনে কিনছেন তাদের ইন্টারেস্টের পরিমাণ ১০-১১ শতাংশ। ব্যাংক ও লোন কোম্পানি ভেদে ইন্টারেস্ট ওঠানামা করছে।
এদিকে প্যান্ডামিকের পর আবার ফোর ক্লোজার শুরু হয়েছে। জুলাই মাসে উল্লেখযোগ্য বাড়ি ও বাসা ফোর ক্লোজারের তালিকায় উঠেছে। ফোর ক্লোজারের বাড়ি ও বাসা অনেকেই কিনছেন। কিন্তু তাদের জন্য লোন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ফোর ক্লোজারের বাড়ি কিনলে অবশ্যই খুব সতর্কভাবে কিনতে হবে। ওই বাড়িতে যদি ভাড়াটিয়া থেকে থাকেন, তাহলে কিন্তু বাড়ি কিনে খুব বেশি লাভ করা যাবে না। বিশেষ করে, নিউইয়র্কে। কারণ ওই বাড়ি থেকে ভাড়াটিয়াকে সরাতে হলে আট মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে মর্টগ্রেজের লোন টেনে যেতে হবে। যাদের সেই পরিমাণ আয় নেই, তারা সমস্যায় পড়বেন। কারণ হাতে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করার মতো অর্থ না থাকলে লোকসান হবে। একসময় বাড়িটিও হাতছাড়া হতে পারে।
কেউ কেউ মনে করছেন, প্যান্ডামিকের কারণে অনেক বাড়ি ফ্লোর ক্লোজারে আসবে। কিন্তু এটা এতটা সহজ হবে না। কারণ, একটি বাড়ি ফ্লোর ক্লোজারে যেতে মামলা নিষ্পত্তি হওয়াসহ সবকিছু মিলিয়ে ৫-৭ বছর লেগে যায়। এখন ফোর ক্লোজারে যেসব বাড়ি আসছে, এগুলো বেশ কয়েক বছর আগের। প্যান্ডামিকের সময়ে যেগুলো ফ্লোর ক্লোজারের আসার মতো পরিস্থিতি হয়েছে, এগুলো আসতে আরো ৫-৬ বছর সময় লাগবে। তবে ২০০৮-এর মতো হবে না।
এ ব্যাপারে মেডোব্রুক ফাইন্যান্সিয়াল মর্টগ্রেজ ব্যাংকার্স করপোরেশনের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ও মর্টগ্রেজ লোন অর্গানাইজার মোহাম্মদ কামাল সিপিএ বলেন, বাজারে বাড়ির দাম এখনো খুব একটা কমেনি। আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আগামী দিনে আরো কমবে, এমনটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। দাম কমলেই যে বাড়ি কিনতে হবে এমন নয়, দাম কিছুটা কমলেও লোনের ইন্টারেস্ট বাড়ছে। এ কারণে মর্টগ্রেজের অঙ্কও বাড়ছে। তাই যারা বাড়ি কেনার উপযুক্ত, কেবল তাদেরই বাড়ি কেনা উচিত।
Posted ১১:৫৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০২২
America News Agency (ANA) | ANA