যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী কমাতে নতুন এক নির্দেশনা জারি হয়েছে, যেখানে অভিবাসন মর্যাদা নেই এমন ব্যক্তিদের গ্রেফতারের পরপরই দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক মন্ত্রী জন কেলি এ ‘কঠোর নির্দেশনা’ জারি করেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি নতুন করে আরও ১০ হাজার এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসী ঠেকাতে এই সপ্তাহে ট্রাম্প আরেকটি নির্বাহী আদেশ দেবেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে। তার আগে নতুন এ নির্দেশনা লাখ লাখ বাংলাদেশিসহ সোয়া কোটি অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কারের ঝুঁকিতে ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে দেওয়া নতুন এ নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অভিবাসী ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি’ এ ধরনের নির্দেশনা প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানিয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কেলির নতুন নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লস এঞ্জেলেসে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইস) সদস্যরা রাস্তায় নেমে পড়ে। তাদের অভিযানের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রবাসী বিভিন্ন কম্যুনিটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নির্দেশনার সমালোচনা করে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো বলেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের সামাজিক সমপ্রীতি হুমকির মুখে পড়ল। আমেরিকায় জন্ম নেওয়া ছেলে-মেয়ের সামনে থেকে তাদের মা-বাবাকে ধরে নিয়ে নিজ দেশে ফেরত পাঠালে ‘পারিবারিক বিভক্তি’ বাড়বে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এভাবে আইনের শাসনের পথ রুদ্ধ করে ফেলা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত মাসের শেষ দিকে এক নির্বাহী আদেশে ১২০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে মুসলিমপ্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে।
Posted ১১:১১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
America News Agency (ANA) | Payel