
এনা অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 12754 বার পঠিত
তুরস্ক ও সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া লোকদের খুঁজে পাওয়ার আশা শেষ হয়ে আসছে। কারণ, উদ্ধার অভিযান সোমবার শেষ সময়ে প্রবেশ করেছে। অনুসন্ধান কাজে সহায়তাকারী কুকুর ও থার্মাল ক্যামেরা ব্যবহার করে উদ্ধারকারীরা ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
এক সপ্তাহ আগে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে তুরস্কে ৩১ হাজার ৬৪৩ জন ও সিরিয়ায় ৫ হাজার ৭৪১ জন নিহত হয়েছে।
সিরিয়ার বিধ্বস্ত শহর আলেপ্পোতে জাতিসংঘের সহায়তা ইউনিটের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়ে আসছে। এখন আশ্রয় ও খাবার সরবরাহে জোর দেওয়া হচ্ছে।
ভূমিকম্প কবলিত এলাকার তাপমাত্রা মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে, যা উদ্ধার অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে।
দেশটির ব্যবসায়ী সংগঠন তুর্কি এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড বিজনেস কনফেডারেশন জানায়, মারাত্মক ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৪ বিলিয়ন ডলার।
তুরস্কের নগরায়ন মন্ত্রী মুরাত কুরুমের তথ্যমতে, মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি শহরে প্রায় ৪২ হাজার ভবন ধসে পড়েছে অথবা জরুরি ভিত্তিতে ভেঙে ফেলতে হয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘ বলছে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ মানুষের জন্য জরুরি খাবারের প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প।
উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স
Posted ১:৩৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
America News Agency (ANA) | ANA