আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদের উসকানিদাতাদের বিচার এদেশের মানুষ একদিন করবেই। তাদের বিচার হবে গণআদালতে। এদেশের মাটিতে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করে, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানায় তাদের মুখে গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের সুরক্ষার কথা মানায় না।’
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি এতিমের টাকা চুরি করে খেয়েছেন, কোর্টে হাজিরা দিতে যান। একদিন যান, ১০ দিন যান না, ব্যাপারটা কি? কথায় বলে চোরের মন পুলিশ পুলিশ। আপনার মুখ থেকে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ভাষা শিখতে হবে? বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার আমলে ১৯টি ক্যু হয়েছিল। কারফিউ দিয়ে দেশ চালিয়েছিল। মানুষের স্বাধীনতা ছিল না। ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। তারা একদিকে হত্যা করে, আরেক দিকে আওয়ামী লীগের লোকজনকে ধরে নিয়ে যায়। ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে পেটোয়াবাহিনী বানিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা কখনো জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে চায়নি। কারণ তাদের দেহ এ দেশে থাকলেও মন পড়ে থাকত পাকিস্তানে।’
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে বাংলাদেশের মানুষ যখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যাে করা হয়।
এর আগে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী জনসভাস্থলে উপস্থিত হন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১০ জানুয়ারি বাঙালির জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাধারণ মানুষ অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে যে নির্দেশ জাতির পিতা দিতেন, বাঙালিরা সেই নির্দেশ মেনে নিতেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পাকিস্তান হানাদার বাহিনী জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণের চাপে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল তারা। পরে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেয়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেছিলেন।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১২টার আগে থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে ছিল নানা রঙ-বেরঙের দলীয় ব্যানার-ফেস্টুন। বেলা ২টার মধ্যেই পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিপূর্ণ হয়ে উঠে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে।
এ সময় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে স্লোগান দেয় তারা। এদিকে জনসভার নিরাপত্তায় সভাস্থল ও এর আশপাশে বিশেষ ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী।
সূত্র: সম/এম
Posted ৭:১১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি ২০১৭
America News Agency (ANA) | Payel