দশটি দেশ যারা পৃথিবীর মোট অর্থনীতির মাত্র ২ দশমিক ৫ ভাগ তারা পৃথিবীর অধের্েকর বেশি শরণার্থীকে জায়গা দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এখবর জানিয়েছে। ধনী দেশগুলো এই নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে শরণার্থীদের চাপ সামলানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সাহায্য করছে না। ফলে শরণার্থী সংকট আরো প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
আশ্রয় নেওয়া দেশগুলোতে নানা অভাবের কারণে শরণার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপ,অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায় বিশ্বের ২ কোটি ১০ লাখ শরণার্থীর প্রায় ৫৬ ভাগকে আশ্রয় দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দশটি দেশ। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে জর্ডান। সেখানে আশ্রয় নিয়েছে ২৭ লাখ মানুষ। তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে ২৫ লাখ মানুষ,পাকিস্তানে ১৬ লাখ এবং লেবাননে ১৫ লাখ মানুষ। অধিক হারে আশ্রয় দেওয়া অন্য ৬টি দেশ হচ্ছে ইরান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা ,কঙ্গো এবং চাদ।
অ্যামনেস্টি সম্পাদক সলিল শেঠি বলেন, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে অনেক ছোট দেশ বিপুল শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। তিনি সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান, আফগানিস্তান ও ইরাকের শরণার্থীদের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের উল্লেখ করেন। পৃথিবীর অনেক ধনী দেশ খুবই অল্প সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।
ব্রিটেন মাত্র ৮ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। জর্ডান যার জিডিপি ব্রিটেনের ১ দশমিক ২ ভাগ, দেশটি প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ৬ লাখ ৫৫ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।
অ্যামনেস্টি এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। ধনী দেশগুলো প্রতিবছর ১০ ভাগ শরণার্থীকে জায়গা করে দেবে। শেঠি বলেন, যারা বাধ্য হয়ে দেশ ত্যাগ করছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য আলোচনায় বসার সময় হয়েছে বিশ্বনেতাদের। তাদেরকে বলতে হবে কেন তারা সমরাস্ত্র তৈরিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে পারছে কিন্তু ২১ লাখ শরণার্থীকে নিরাপদ আশ্রয় দিতে পারছে না। মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউট-এর প্রতিষ্ঠাতা ক্যাথলিন নিউল্যান্ড বলেন, রাষ্ট্রসমূহ এগিয়ে না এলে শরণার্থীদের বিপজ্জনক সফর বন্ধ হবে না।
Posted ১০:০৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০১৬
America News Agency (ANA) | Payel