
এনা : | সোমবার, ০৫ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 12727 বার পঠিত
ছবি - সংগৃহীত
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হলেন শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে গণভবন ঘেরাও করে সাধারণ ছাত্র-জনতা। এর আগেই পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন তিনি।
বিভিন্ন সূত্রের খবর শেখ হাসিনার সাথে দেশ ছেড়েছেন তার বোন শেখ রেহানাও। বঙ্গভবন থেকে একটি হেলিকপ্টারে করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার দিকে যান দুই বোন। একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম এটি নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রেশ শেষ পর্যন্ত সরকার পতনের একদফায় গিয়ে ঠেকে। শতশত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হয় গত কয়েকদিনে। সবশেষ ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ সরকার শেষ হয় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে।
ঢাকার সড়কে লাখো মানুষের উল্লাস
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সারা দেশে উল্লাস শুরু হয়। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে উল্লাস করছেন সাধারণ মানুষ। পথে পথে ছাত্রজনতার সঙ্গে উল্লাসে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মানুষ। দুপুরের পর থেকে শাহবাগে হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নিতে থাকেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে দল বেধে মানুষ আসে। সবাই স্লোগান দিচ্ছেন।
গণভবন ও সংসদ ভবনে লাখো মানুষ
ক্ষমতা ছেড়ে গোপনে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর গণভবনের পর জাতীয় সংসদ ভবনও দখলে নেয় আন্দোলনকারীরা। সংসদ ভবনে ঢুকে পড়েন লাখো মানুষ। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে গণভবন দখল করেন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে কেউ কেউ বিভিন্ন জিনিসপত্রও নিয়ে যাচ্ছেন বলে দেখা গেছে। গণভবনে প্রবেশ করে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে উল্লাস করেছেন তারা।
উৎসুক জনতা সংসদের প্রাচীর পার হয়ে ঢুকতে থাকেন। প্রায় হাজার হাজার জনতা একে একে সংসদে অবস্থান নেয়। সংসদের লেকপাড়, সামনের মাঠ, সিঁড়িসহ সকল স্থানেই সাধারণ মানুষের পদচারণা পড়ে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোয় বিজয় উল্লাস করতে থাকেন শিক্ষার্থী-জনতা। এ সময় সংসদের সামনের মাঠে আন্দোলনকারীদের একাংশকে ফুটবল খেলতে দেখা যায়। সংসদ ভবনের ছাদে উঠেও উল্লাস করেন আন্দোলনকারীরা। অধিবেশন কক্ষেও ঢুকে পড়ে শিক্ষার্থীরা। নানা স্লোগানে তারা উল্লাস করতে থাকেন।
রাজনীতিতে ফিরবেন না শেখ হাসিনা: বিবিসিকে জয়
সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দেশের জন্য কঠোর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও সম্প্রতি যা যা ঘটল, তাতে মা খুবই হতাশ। তাই তিনি আর রাজনীতি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নিজের মায়ের প্রসঙ্গে জয়ের মূল্যায়ন, তিনি যখন (২০০৯ সালে) বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন, তখন এটি প্রায় ব্যর্থ একটি রাষ্ট্র ছিল। এটি ছিল একটি দরিদ্র দেশ। কিন্তু আজ বাংলাদেশ এশিয়ার উদীয়মান বাঘগুলোর মধ্যে একটি। তার নেতৃত্ব ছাড়া এটি সম্ভব ছিল না… কিন্তু যাই হোক, মা খুবই, খুবই হতাশ।
Posted ৭:০১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৫ আগস্ট ২০২৪
America News Agency (ANA) | ANA