
এনা : | শুক্রবার, ০২ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 12711 বার পঠিত
শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের ডাকা ‘দ্রোহযাত্রায়’ যোগ দিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও অসংখ্য শিক্ষার্থী জনতাকে হত্যার দায়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার (২ আগস্ট) যাত্রাটি রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর ও টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্রোহযাত্রায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দ্রোহযাত্রায় অংশ নিতে দুপুর ৩টার আগ থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
যাত্রার শুরুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, দাবি এখন একটাই, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে আনতে হবে। সরকারের কাছে কোনো কিছু চাওয়ার নেই। তবে অনেক বিচার বকেয়া রয়েছে। ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের’ বিচার করতে হবে।
এরপর সাড়ে তিনটার দিকে দ্রোহযাত্রাটি শুরু হয়। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর ও টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে এটি শেষ হয়। সেখানে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। তিনি বলেন, গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে, গ্রেপ্তার সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। রোববারের মধ্যে কারফিউ তুলে নিতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। রোববারের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এসব দাবি পূরণ না হলে রোববার বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে।
রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায় আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
Posted ১০:০৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ আগস্ট ২০২৪
America News Agency (ANA) | ANA