করোনা আতঙ্কে যখন গোটা দেশ যখন আতংকিত, তখন রং হারিয়েছে চিরায়ত উৎসবও। বৈশাখ এলেও নেই উচ্ছ্বাস। বন্ধ বিপণীবিতান, নেই ক্রেতা কিংবা বিক্রেতার শোরগোলও। ফ্যাশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ খাতে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়াচ্ছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।
বৈশাখের নয় বরং করোনার মাতনদোলায় বাসন্তি রং শাড়িতে আতংকের কালো ছায়া, চার দেয়ালে আটকে আছে ললনাদের উচ্ছ্বাসও। নানা বাদ্যে নয়.. বৈশাখের শাঁখে যেন বিষাদের সুর।
নেই মেলা, নেই নাগরদোলা, বায়োস্কোপের হাঁকডাক, নেই মেলায় যাবার তোড়জোড়ও। আর তাই এবারের বৈশাখে কাপড়ের জমিন জুড়ে রঙিন বুননের নকশা যতই থাক; মন জুড়ে নেই ছিটেফোটা।
বন্ধ দোকান, নেই বাহারী পণ্যের পসরা, নেই ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষি। করোনা যেন হঠাৎই বদলে দিয়েছে খুব চেনা বৈশাখী দৃশ্যপট।
সংকটকালীন এমন সময়ে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা যেন অনেকের জন্যই অনেকটাই হিতে বিপরীত। দীর্ঘ সময়ের এই বন্দীত্ব জীবন যে কারো জন্য ক্ষতির হিসেব-নিকেশ।
করোনার আধিপত্যে যেমন বন্ধ হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের আযোজন তেমনি হয়েছে বাংলা নববর্ষের আনুষ্ঠানিকতাও। পরিসংখ্যান বলছে, বড় এই দুই উৎসব না হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।
Posted ১:৩৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০
America News Agency (ANA) | Payel