মঙ্গলবার ১৫ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাগরিকত্ব আইন দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করবে: ড.মঈন খান

অনলাইন ডেস্ক :   |   মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭   |   প্রিন্ট   |   916 বার পঠিত

নাগরিকত্ব আইন দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করবে: ড.মঈন খান

প্রস্তাবিত ‘নাগরিকত্ব আইন-২০১৬’ দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
মঙ্গলবার দুপুরে ‘নাগরিকের নিরাপত্তা ও নাগরিকত্ব আইন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

মঈন খান বলেন, প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিটি ধারা বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন ও ন্যায়বিচার ধ্বংস করে ক্ষমতাসীনদের অপশাসন প্রতিষ্ঠা করতেই নাগরিকত্ব আইন করা হচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী এ দেশ শাসন করতে চায়।
তিনি বলেন, এ আইন বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করবে। বাংলাদেশের মানুষ কখনও কালাকানুন আইন মেনে নেয়নি। তারা বুকের রক্ত দিয়ে রাজপথে এসবকে প্রতিহত করেছে এবং করবে।
তিনি বলেন, ইউনির্ভাসাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস যেটা জাতিসংঘ করেছে, তার আর্টিক্যালের সুনির্দিষ্ট ধারায় (১৫/২) বলা আছে, পৃথিবীতে যে শিশুটি জন্ম করেছে তার একটি নাগরিকত্ব পাওয়ার মৌলিক অধিকার আছে এবং সে নাগরিকত্ব কখনও কেড়ে নেওয়া যাবে না। এই আর্টিক্যাল মেনে নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছে। এ আইনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সংবিধানকেও খর্ব করব; এটি সংবিধানের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
‘সেন্টার ফর ন্যাশনালিজম স্ট্যাডিজ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার মীর হেলালউদ্দিন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ড. সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা শাহ মো. আবু জাফর, ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।

Facebook Comments Box

Comments

comments

Posted ১০:৫০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭

America News Agency (ANA) |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

[abm_bangladesh_map]
Editor-in-chief :
Sayeed-Ur-Rabb
Corporate Headquarter :

44-70 21st.# 3O1, LIC. New York-11101. USA,

06463215067

americanewsagency@gmail.com

Copyright © 2019-2025Inc. America News Agency (ANA), All rights reserved.ESTD-1997