
এনা, ঢাকা : | রবিবার, ০৫ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট | 3133 বার পঠিত
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সিলেট উৎসব ঢাকার প্রথম পর্ব অনুষ্টিত হয়েছে। আগামী ৬ ও ৭ মার্চ উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে।
কোথাও চলছিল মেলা। কোথাও প্রাণবন্ত কথামালা। কখনো ভেসে আসছিল গানের সুর। আর এসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে একটি গণ্ডির মধ্যে এসেছিলেন প্রবাসী, কূটনীতিক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, গায়ক, নাট্যকার, সাংবাদিক, প্রাকাশকসহ বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা। সব মিলিয়ে একটা উচ্ছ্বাস। এই উচ্ছ্বাস ছিল ‘সিলেটি উচ্ছ্বাস’। আন্তর্জাতিক সিলেট উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য ‘ শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য সম্প্রীতির অভিযাত্রা’।
শুক্রবার (৩ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সিএম শফি সামী, রাশেদা কে চৌধুরী, গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের উপদেষ্টা নাসির এ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সিলেট উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান জালাল আহমদ। সভাপতিত্ব করেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সি এম তোফায়েল সামী। শুক্রবার সকালে জাতীয় ও উদ্বোধনী সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে অতিথিদের বক্তৃতা, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও মধ্যাহ্নভোজের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হয়। বিকালে দেশ-বিদেশের অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রজন্মের কথা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, কৌতুক, আবৃত্তি, নবরতের গান, সিলেটের সংগীত ও নৃত্য সম্ভার ধামাইল দিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
দ্বিতীয় দিনে সিলেট অঞ্চলের গান, সিলেটের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা বিষয়ক বক্তৃতা, গুণীজন সংবর্ধনা ও জালালাবাদ স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা প্রাপ্ত গুণীজন: এম বি চৌধুরী শিক্ষাবিদ (শিক্ষা), ব্রিগেডিয়ার এম এ মালিক, চেয়ারপারসন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন (চিকিৎসা), আবুল মাল আবদুল মুহিত (অর্থনীতি), স্যার ফজলে হাসান আবেদ চেয়ারপারসন ব্রাক (সামাজিক উন্নয়ন), সি আর দত্ত বীর উত্তম (মুক্তিযুদ্ধ), হাফিজ আহমদ মজুমদার চেয়ারম্যান বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (মানব সম্পদ উন্নয়ন), নাসির এ চৌধুরী উপদেষ্টা গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স (ব্যবসায়), দ্বিজেন শর্মা, নিসর্গবিদ (পরিবেশ ও নিসর্গ)। পরে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, কৌতুক আবৃত্তি, প্রবাসী শিল্পীদের সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা ও দেশ-বিদেশের শিল্পীদের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নৃত্যনাট্য হাছনরাজা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের উৎসব।
সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সুবীর নন্দী, সেলিম চৌধুরীসহ সিলেটের শিল্পীবৃন্দ।
আন্তর্জাতিক সিলেট উৎসব মূলত সিলেটবাসীর মিলন মেলায় পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিলনায়তন সিলেটিদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। হাজার হাজার সিলেটির বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে অন্য এক আনন্দ মেলায় পরিণত হয়। আন্তর্জাতিক সিলেট উৎসব প্রথমবারের মতো ঢাকা ও সিলেটে অনুষ্টিত হচ্ছে।
তুহিন আহমদ পায়েল/এনা-
Posted ৪:২১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৫ মার্চ ২০১৭
America News Agency (ANA) | Payel