
অনলাইন ডেস্ক : | রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট | 925 বার পঠিত
ছবি - ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশপ্রেমিক এবং ভালো নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হিসেবে গড়ে ওঠার জন্যই ভবিষ্যত প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্যই তাদের ইতিহাস জানতে হবে।
তিনি বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যেন জানতে পারে যে কত মহান ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেই স্মৃতিচিহ্নগুলো তারা দেখবে। সেই স্মৃতিগুলি তারা উপলদ্ধি করবে। অন্তরে ধারণ করবে এবং সেভাবেই নিজেদের চরিত্রকে গঠন করবে, দেশপ্রেমে তারা উদ্বুদ্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নবনির্মিত বহুতল ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। খবর: বাসস
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানা নতুন প্রজন্মের মানুষের চরিত্র গঠনের জন্যই জরুরি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পর এমন একটা সময় এসেছিল- তখন যারা মুক্তিযোদ্ধা, তারা মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এটা বলতে ভয় পেতো। এটুকু বলতে আতংকগ্রস্ত হতো, দ্বিধাগ্রস্ত হতো। আর যারা সম্পূর্ণ দালালিটা করতে পেরেছে তাদের কথা আলাদা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি ২১ বছর পর সরকার গঠন করে আমাদের গৃহীত পদক্ষেপে মুক্তিযোদ্ধারা গর্বভরে বলতে পারেন ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা।’
সে সময় জয়বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিল এবং জয়বাংলা স্লোগান দিতে গিয়ে বহু নেতা-কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। তাদের গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের ছুরি মারা হয়েছে। সমাজে তারা নানাভাবে অত্যাচারিত-নিগৃহীত হয়েছে। এমনকি জাতির পিতার ছবি প্রচার হতো না টেলিভিশনে। অনেকের ছবির মধ্যে যদি জাতির পিতার ছবিও থাকতো হাহলে সেই ছবিকে কৌশলে ঢেকে প্রচার করা হতো, এমনকি আঙুল দিয়ে ঢেকে রাখতেও দেখা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্য কোনদিন চাপা থাকে না। সত্যের শক্তি অনেক বেশি। আজকে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা ফিরে এসেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীবৃন্দ। পরে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারা ২ লাখ মা-বোন স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী জাদুঘর চত্বরে রক্ষিত শিখা অম্লান প্রজ্বলন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফলক উন্মেচনের পর পুরো জাদুঘর ঘুরে দেখেন।
Posted ১১:৪২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৭
America News Agency (ANA) | Payel