
তুহিন আহমদ পায়েল, ঢাকা থেকে : | শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট | 613 বার পঠিত
নাজিনূর রহিম। একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করাই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২০০৮ সালে হাই-স্কিলড মাইগ্রেশন ভিসায় যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কিছুদিন চাকরি করেন। তারপর চাকরি ছেড়ে নিজেই ব্যবসা শুরু করেন।
গ্লোবাল এক্সপেরিশন লিমিটেডের মাধ্যমে প্রথমে চিন থেকে আমদানি করা গৃহস্থালি সামগ্রীর ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে এ ব্যবসা ইংল্যাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলেও এসব সামগ্রী পরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করে তিনি ব্যবসায় বেশ সাফল্য লাভ করেন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা নাজিনূর রহিম দেশ-বিদেশে নানা রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ও আইসিটি সেক্টরসহ বহুজাতিক ব্যবসার সাথে জড়িত।
নাজিনূর রহিম যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা হুজ’হু বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রধান নির্বাহী। হুজ’হু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হুজ’হু ১৮৪৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যসহ সারাবিশে^র অনুকণীয় গুণীজনদের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ এবং পদক প্রদান করে আসছে। এখন পর্যন্ত সারা বিশে^ ৩৩ হাজারেও বেশি গুণীজনের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করেছে এ সংস্থা।
নাজিনূর রহিম আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। দু’দেশের বাণিজ্য বাড়াতে তিনি এবং আর সহযোগীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। বাংলাদেশে যেমন আয়ারল্যান্ডের কোনো এ্যাম্বাসি নেই, তেমনি আয়ারল্যান্ডেও বাংলাদেশের কোনো অ্যাম্বাসি নেই। ফলে আমাদের এখানকার ব্যবসায়ীরা জানেন না সেখানে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কি কি সুযোগ রয়েছে, একইভাবে আয়ারল্যান্ডের ব্যবসায়ীরাও জানে না বাংলাদেশের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
যে কারণে আমরা আমাদের এই চেম্বারের মাধ্যমে দু’দেশের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যেসব সুবিধাগুলো আছে সেগুলো তুলে ধরছি। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ^ হচ্ছে একটা গ্লোবাল ভিলেজ, অথচ সেখানে আমাদের দূতাবাস নেই, ইন্ডিয়াতে গিয়ে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। বাংলাদেশের কোনো স্টুডেন্ট সেখানে পড়ালেখা করতে যেতে পারছে না। সেগুলো আমরা দু’দেশের সরকারের হাই অথরিটির কাছে এই চেম্বারের মাধ্যমে তুলে ধরছি।
তিনি জানান, যেহেতু আয়ারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ। ফলে ইউরোপের অন্যান্য দেশের দূতাবাসের মাধ্যমেও এই সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব এবং আমরা এগুলো নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করছি।
ব্যবসায়ের পাশাপাশি নাজিনূর লেখালেখির কাজেও সমান দক্ষ। তিনি বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক মানের কূটনৈতিক বিষয়ক মাসিক পত্রিকা ডিপ্লোমেট-এর প্রকাশক ও নির্বাহী সম্পাদক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর নিরাপদ মাতৃত্বের ফলাফল বিষয়ে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন, যা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত করেছে। বাংলাদেশে বন্যায় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগিতায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ব্যবসায়ীর খাতে উদ্ভাবনী অবদানের জন্য ২০১১ সালে লন্ডনে এফওবিসি স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ২০১৪ সালে অবদান ও অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ হুজহু এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। ২০১৫ সালে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ বিজনেস এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়াও নাজিনূর রহিম দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত আছেন।
Posted ৪:০৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
America News Agency (ANA) | Payel