জ্বর কী?
শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ সেলসিয়াস৷ তাই তার বেশি হলেই জ্বর হয়েছে বলে ধরা হয়৷ তবে শরীরে জ্বরের মাত্রা কত, তা নির্ভর করে থার্মোমিটারটি শরীরের কোথায় রেখে মাপা হয়েছে তার ওপর৷ কারণ শরীরের হাত, পা, মুখের ভেতর বা অন্য জায়গায় তাপমাত্রার পার্থক্য হয়ে থাকে৷
সঠিক তাপমাত্রা নির্ণয়
থার্মোমিটারটি মুখের ভেতর, বগলের নিচে, মলদ্বার বা শরীরের ঠিক কোনখানে এবং দিনের কোন সময়ে মাপা হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে জ্বরের পরিমাপ৷ তবে শরীরের অন্যান্য জায়গার তুলনায় মুখের ভেতর বা জিবের নিচের তাপমাত্রাই সাধারণত সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে৷
যখন কিছুটা গরম স্বাভাবিক
অসুখ ছাড়াও মাঝে মধ্যে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি হয়৷ বিশেষ করে খেলাধূলা করার সময়৷ নারীদেহের তাপমাত্রা নির্ভর করে মাসিকের সময়ের ওপর৷ মাসিকের ১০-১২ দিন আগে, অর্থাৎ ‘ওভালিউশনের’ ঠিক আগে মেয়েদের শরীর সবচেয়ে গরম থাকে৷ এছাড়া খুব ঝাল বা চর্বিযুক্ত খাবার খেলেও শরীর গরম হয়৷ শরীরের কড়া সূর্যের তাপ লাগলেও শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে৷
শিশুদের জ্বর
শিশুদের কিন্তু খুব ছোটখাটো কারণে জ্বর হয়ে থাকে৷ তবে কোনো শিশুর যদি ঘনঘন জ্বর হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত, বলেন শিশু বিশেষজ্ঞরা৷
তাপের মাত্রা
শরীরের তাপমাত্রা যদি ৩৮,২ থেকে ৩৮,৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হয়, তাহলে সেটাকে হালকা জ্বর বলে ধরা হয়৷ ৩৮,৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি হলে মাঝারি জ্বর এবং ৩৯,১ থেকে ৩৯,৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে সেই তাপমাত্রাকে বেশি জ্বর বলে৷ এমনটা হলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে৷ আর যদি জ্বরের মাত্রা যদি ৪০ থেকে ৪২ হয়, তাহলে আর দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে, জানান ডা. ইয়র্গ ফ্রাংকে৷
বিশ্রাম
শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে যায়, বিশেষ করে ঠান্ডা লেগে জ্বর হলে৷ তাছাড়া জ্বরের সময় স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন৷ তাছাড়া শরীরের তাপ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে রাস্তা-ঘাটে একা চলাফেরা না করাই শ্রেয়৷ –ডিডব্লিউ
Posted ১২:৪৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ অক্টোবর ২০১৬
America News Agency (ANA) | Payel