আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি ও অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসীরা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে। এর আগে তারা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছিল।
তারা যাতে আর কখনো ক্ষমতায় ফিরে না আসে সেটা নিশ্চিত করুন। ২ মে মঙ্গলবার ভার্জিনিয়ার দ্য রিটজ-কার্লটন হোটেলের হল রুমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল নেতা-কর্মী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট তথাকথিত আন্দোলনের নামে ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত বহু মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং রাস্তার পাশের হাজার হাজার গাছ ধ্বংস করেছে।
তিনি দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, এই চক্র দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে এবং আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে দেশকে আবারও উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছে।
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হবে। আমরা স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি,” উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ডিজিটাল বাংলাদেশের উপাদানগুলোকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দেশে-বিদেশে রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্য বিএনপি-জামাত মহলের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। তারা (বিএনপি-জামায়াত) ডিজিটাল বাংলাদেশের হাতিয়ার ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রচারে কান দেবেন না, যোগ করেন তিনি।
সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা কর্মিদের চায়ের দাওয়াত দেন। এসময় তিনি বলেন, আমি শুনলাম কিছু লোক নাকি আমাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। বাইরে অনেক শীত। তারা বাইরে ঠাণ্ডায় কষ্ট করবে কেন? তাদের যদি কিছু বলার থাকে আসুক। আমার সাথে কথা বলে যাক। এক কাপ চা খেয়ে যাক। এসময় হল ভর্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা জোড়ে করতালি দেয়।
শেখ হাসিনার বক্তৃতার বড় অংশ জুড়েই বিএনপির জন্ম, স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর বলে আখ্যায়িত করাসহ খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত বিষয়াদি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।
Posted ৭:৪৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৩ মে ২০২৩
America News Agency (ANA) | ANA