আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির দলের মধ্যেই কোনো গণতন্ত্র নেই। শেষ কবে সম্মেলন হয়েছে, তা তাদের মহাসচিবই বলতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ দলের মধ্যেই গণতন্ত্র লালন করে, তিন বছর পর পর সম্মেলন করে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।
বিএনপির ১০ তারিখের সমাবেশ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘বিএনপি রাস্তা দখল করে সমাবেশ করতে চায়। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে তাদের কাছে খাঁচা মনে হয়। এখানে নাকি তাদের সমাবেশ করা নিরাপদ নয়। অথচ ৩৫ হাজার বর্গ ফিটের পল্টন, সেটা খুব নিরাপদ। কারণ, সেখানে লাঠিসোটা নিয়ে অঘটন ঘটাতে পারবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পল্টনকে ভয় পায়। কারণ, লাঠি সোটা নিয়ে অঘটন ঘটানোর অভ্যাস তাদের আছে, আমাদের তা নেই।’
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। সংবিধানও আর পরিবর্তন হবে না। সংবিধানে হাত দেওয়ার অধিকার আর কারও নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির কোনো সম্মেলন নেই। কবে সম্মেলন হয়েছে, ফখরুল ইসলাম দলের মহাসচিব হয়েই জানেন না। আমাদের তো তিন বছর পরপরই সম্মেলন হয়। তাদের ভেতরেই গণতন্ত্র নেই, আবার বলে গণতন্ত্রের কথা।’
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ভোট চুরি করে। আবার তারাই বলে ভোট চুরি ঠেকানোর কথা। বিএনপিকে কেউ বিশ্বাস করে না। ভোট চুরি যারা করে এবার তাদের সঙ্গে আমাদের খেলা হবে। স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে খেলা হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে খেলা হবে।
Posted ১০:৩৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২
America News Agency (ANA) | ANA