বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

টেড কেনেডি জুনিয়র দেখলেন একাত্তরের ছবি

এনা অনলাইন :   রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২ 12767
টেড কেনেডি জুনিয়র দেখলেন একাত্তরের ছবি

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকার যখন পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল, সে সময় মুক্তিকামী বাঙালির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দেশটির সিনেটর প্রয়াত এডওয়ার্ড এম কেনেডি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে মতামত তৈরিতে কাজ করেছিলেন তিনি।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বাংলাদেশে এসে তাঁর ছেলে এডওয়ার্ড টেড এম কেনেডি জুনিয়র অকপটেই বললেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভুল পক্ষ নিয়েছিল।

শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন সপরিবারে টেড এম কেনেডি জুনিয়র। রবিবার ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয় পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একাত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে ওই কথা বলেন তিনি।

টেড এম কেনেডি জুনিয়র বলেন, ‘১৯৭২ সালে আমার বাবা বাংলাদেশে এসেছিলেন। ঢাকায় তাঁকে দারুণভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

সেই অভিজ্ঞতার কথা তিনি আমাদের বলেছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্য হিসেবে এখানে আসতে পেরে আমরা গর্বিত।’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাবা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যুক্তরাষ্ট্র ভুল পক্ষ নিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় আমরা খুবই খুশি।’

দুপুরে সপরিবারে বেঙ্গল শিল্পালয়ে উপস্থিত হন টেড এম কেনেডি জুনিয়র। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ক্যাথরিন কিকি কেনেডি, মেয়ে কাইলি কেনেডি, ছেলে টেডি কেনেডি, ভাতিজি গ্রেস কেনেডি অ্যালেন ও ভাতিজা ম্যাক্স অ্যালেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ছিলেন টেড এম কেনেডি জুনিয়রের চাচা।

বেঙ্গল শিল্পালয়ে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবুল খায়ের, মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী, ট্রাস্টি জিনাত চৌধুরী, নউশীন খায়ের ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাক হিলস স্টেট ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আহরার আহমেদ।

মধ্যাহ্নভোজের পর এই অতিথিদের সামনে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তাঁরা বেঙ্গল শিল্পালয়ে চলমান ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী ‘ভয়েসেস অব বাংলাদেশ: দ্য জার্নি টু ফিফটি’ ঘুরে দেখেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লা-ফেইভ, পাবলিক অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক কর্মকর্তা শন ম্যাকিনটোশ ও কালচারাল অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক কর্মকর্তা শারলিনা হুসেইন মরগ্যান।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্‌যাপন এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে মার্কিন দূতাবাস ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন যৌথভাবে মৌখিক ইতিহাস সংগ্রহের কার্যক্রম ‘ভয়েসেস অব বাংলাদেশ: দ্য জার্নি টু ফিফটি’ শুরু করে।

‘ভয়েসেস অব বাংলাদেশ: দ্য জার্নি টু ফিফটি’র সমন্বয়ক, গবেষক ও আইক্যান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আইরিন খান বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণের চিত্র তুলে ধরেছি। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির সন্তান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশকে ভিন্নমাত্রায় জানার সুযোগ পেয়েছেন।’

মৌখিক ইতিহাস সংগ্রহ কার্যক্রম ‘ভয়েসেস অব বাংলাদেশ: দ্য জার্নি টু ফিফটি’ বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। প্রদর্শনী ঘুরে দেখে এডওয়ার্ড টেড এম কেনেডি জুনিয়র বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। সেই যুদ্ধে মানুষের অংশগ্রহণ এবং মুক্তির গল্প ভয়েসেস অব বাংলাদেশ প্রদর্শনীতে এসে দেখার সুযোগ পেলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অগ্রগতি নিয়ে আমরা গর্বিত।’

Facebook Comments Box

Comments

comments

Posted ১১:৪৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

America News Agency (ANA) |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

 

President/Editor-in-chief :

Sayeed-Ur-Rabb

 

Corporate Headquarter :

 44-70 21st.# 3O1, LIC. New York-11101. USA, Phone : +6463215067.

Dhaka Office :

70/B, Green Road, 1st Floor, Panthapath, Dhaka-1205, Phone : + 88-02-9665090.

E-mail : americanewsagency@gmail.com

Copyright © 2019-2024Inc. America News Agency (ANA), All rights reserved.ESTD-1997