তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার ঢাকা ত্যাগ করেছেন। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি। ঢাকা ছাড়ার আগে বাংলাদশকে নিয়ে তার অনুভূতি ও এদেশে তার স্মৃতি স্মরণ করে এক আবেগঘন বার্তা দিয়ে গেছেন মিলার। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের স্মৃতিচারণা করা দীর্ঘ পোস্ট লেখেন।
ফেসবুক পোস্টটি নিচে তুলে ধরা হলো-
তিন বছর বাংলাদেশে কাটানোর প্রিয় স্মৃতিগুলো সব বর্ণনা করা অসম্ভব। কিন্তু আমি জানি আমার মনে পড়বে রিকশাগুলোর রঙ এবং চালকদের মুখ। পুরান ঢাকার ছাদ ও ঘুড়ি এবং সন্ধ্যার আকাশে পাখির উড়ে যাওয়া। গ্রামের রাস্তায় স্কুলের পোশাকে শিশুর হেঁটে চলা। জাহাজে পূর্ণ চট্টগ্রামের নদী। কক্সবাজারের নৌকাগুলো, যা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নৌকা। সিলেটের গাঢ় সবুজ পাহাড় এবং বরিশালের উজ্জ্বল সবুজ। বান্দরবানের পাহাড়ে এবং ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের সকালের কুয়াশা।
তিন বছরের বেশি সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন আমার জীবনের অনেক সম্মান ও আনন্দের।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক শক্তিশালী এবং ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেটর অ্যাডওয়ার্ড কেনেডি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে নাগরিকের সঙ্গে নাগরিকের, বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক। আমি আশা করি, বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আমি স্বল্প পরিসরে হলেও অবদান রেখেছি।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছি- আমার প্রথম আট মাসে বাংলাদেশের আটটি বিভাগ পরিদর্শন করেছি। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান, আমি এদেশের অনেক মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরেছি, বাংলাদেশিদের স্বতন্ত্র উষ্ণতা, উদারতা ও মহত্বের সাক্ষী হতে পেরেছি। আমি বাংলাদেশিদের উদারতা ও দয়াশীলতার স্মৃতি জমিয়ে রাখব। আমি অসাধারণ দেশটির একজন বিশেষ অতিথি হতে পারার সুযোগ পাওয়ায় পূর্ণ কৃতজ্ঞ চিত্তে চলে যাচ্ছি।
আমার একটি সহযোগিতা চাওয়ার আছে। যখন রাষ্ট্রদূত হ্যাস আসবেন, তাকেও আমার ও আমার পরিবারের মতো একই ধরনের উষ্ণতা ও সমর্থন দেবেন।
— রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার
Posted ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২২ জানুয়ারি ২০২২
America News Agency (ANA) | ANA