শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশকে উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন

এনা অনলাইন :   বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১ 12791
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশকে উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন

বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে একটি ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। এবার অপেক্ষা বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে স্থান করে নেওয়ার। মঙ্গলবার পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বুধবার রাতে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ একটি ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাস করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এর চেয়ে বড় উৎসব আর কী হতে পারে! জাতির আকাঙ্ক্ষা ও প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ পূরণ হলো। জয় বাংলা।’

এদিকে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও লাওসের ক্ষেত্রেও একই সুপারিশ করা হয়েছে। এই তিন দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর প্রস্তুতির সময় পাবে। যদিও সাধারণত প্রস্তুতির জন্য তিন বছর সময় দেওয়া হয়। করোনার কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ করে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি)।

সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে তুলনামূলক দুর্বল দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭১ সালে প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে পাঁচ বছর পর এলডিসি থেকে বের হয়ে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে যাবে বাংলাদেশ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে আরেকটি মাইলফলক। এতে বাংলাদেশের বড় ধরনের ব্র্যান্ডিং হবে। এখানকার অর্থনীতি উদীয়মান, বড় বাজার সৃষ্টি হচ্ছে- এমন বার্তা বিশ্ববাসী পাবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের অন্যতম শর্ত হলো অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া। বাংলাদেশ এ শর্ত পূরণ করতে পারছে, মানে অর্থনীতিতে তুলনামূলক কম ঝুঁকি রয়েছে। এসব বিষয় বিনিয়োগকারীদের উপলব্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ আঞ্চলিক বা দ্বিপক্ষীয় চুক্তির অধীনে বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির সুবিধা পায়। আবার ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিধিবিধান থেকে অব্যাহতি রয়েছে। অন্যদিকে উন্নয়ন সহযোগীরা কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে। এলডিসি না থাকলে এসব সুবিধা উঠে যাবে।
এলডিসি থেকে কোন কোন দেশ বের হবে, সে বিষয়ে সুপারিশ করে থাকে সিডিপি।

এ জন্য তিন বছর পরপর এলডিসিগুলোর ত্রিবার্ষিক মূল্যায়ন করা হয়। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এই তিন সূচক দিয়ে একটি দেশ উন্নয়নশীল হতে পারবে কিনা, তা নির্ধারণ করা হয়। যে কোনো দুটি সূচকে যোগ্যতা অর্জন করতে হয় কিংবা মাথাপিছু আয় নির্দিষ্ট সীমার দ্বিগুণ করতে হয়।

বর্তমানে ৪৭টি স্বল্পোন্নত দেশ আছে। এ পর্যন্ত মালদ্বীপ, বতসোয়ানা, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, সামোয়া ও কেইপ ভার্দে এলডিসি থেকে বের হতে পেরেছে।

Facebook Comments Box

Comments

comments

Posted ২:১১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১

America News Agency (ANA) |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

 

President/Editor-in-chief :

Sayeed-Ur-Rabb

 

Corporate Headquarter :

 44-70 21st.# 3O1, LIC. New York-11101. USA, Phone : +6463215067.

Dhaka Office :

70/B, Green Road, 1st Floor, Panthapath, Dhaka-1205, Phone : + 88-02-9665090.

E-mail : americanewsagency@gmail.com

Copyright © 2019-2024Inc. America News Agency (ANA), All rights reserved.ESTD-1997